তোফায়েল আহমদ:
একটি দু’টি নয়, শত শত তরমুজ শহিদুল্লাহর ক্ষেতে। অন্তত আট কানি বালুচরে তার তরমুজ ক্ষেত। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের চেপটখালী সমুদ্র সৈকতের বালুচরে কৃষক শহিদুল্লাহর বিশাল তরমুজ ক্ষেতটি দেখলেই মন জুড়ে যায়। এক কথায় আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
আজ শনিবার বিকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেল অনেক ভ্রমণকারির ভীড়। ক্ষেতের পার্শ্ববর্তী মেরিন ড্রাইভে দীর্ঘ গাড়ির লাইন। গাড়ির আরোহীরা ক্ষেতে নেমেই পাকা তরমুজ কিনে নিচ্ছেন।
প্রতিটি ১০০/৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। সাগর আর পাহাড়ের সাথে তরমুজ ক্ষেতটিও যেন সাময়িক সময়ের জন্য হলেও মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণকারিদের কাছে আরেক আকর্ষন।
ক্ষেতের তরতাজা লাল পাকা তরমুজের কাটা ফালিতে ভ্রমণকারিরা স্বপ্নের কক্সবাজারের গন্ধ খুঁজে পান। শহিদুল্লাহ জানান, মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে এবারই প্রথম বালুচরটি আবাদযোগ্য করে তরমুজ ক্ষেত করা হয়েছে। তাতে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকার মত।
তরমুজ ক্ষেতে চাষী শহিদুল্লাহ। ক্ষেতে পরিচর্যা করছেন।
এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা তার হাতে এসেছে। ক্ষেতে যে তরমুজ রয়েছে তাতে আরও সমপরিমাণ আয় তিনি আশা করছেন। বিস্তৃত সাগর তীরের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের। শহিদুল্লাহর তরমুজ ক্ষেতও পর্যটন প্রসারের একটি উপাদান। সেই সাথে স্থানীয়দের অর্থনীতিও এখানে জড়িত।
তাই আগামী মৌসুমে মেরিন ড্রাইভের তীরের বালুচরে এরকম আরো অনেক শহিদুল্লাহর তরমুজ ক্ষেতের দেখা মিলবে বলে আমার বিশ্বাস।
Discussion about this post