ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-৪-এর অপারেশন অফিসার জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহীতে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের ছয়জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন লালমনিরহাটের শাকিল ইসলাম (১৯), কুমিল্লার আশিকুর রহমান (১৮), কিশোরগঞ্জের আবু মো. ওবায়দুল্লাহ (১৭), ময়মনসিংহের তৌকির হোসেন (১৬), সিরাজগঞ্জের আরাফাত হোসেন নাঈম (১৯) ও রাজশাহীর আফসানুর রহমান রুবেল (৩১)।
অপারেশন অফিসার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই, লিফলেটসহ ব্যাগ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, শাকিল ইসলাম পেশায় একটি দোকানের সেলসম্যান। তিনি কিছুদিন ধরে আনসার আল-ইসলামের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। শাকিল সংগঠনটির সামরিক শাখার একজন সদস্য। তার কাছে বোমা তৈরির ম্যানুয়াল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আশিকুর রহমানও একজন সেলসম্যান। তিনি গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলেন। তাদের দুজনকে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব আরো জানিয়েছে, ওবায়দুল্লাহ একজন কলেজছাত্র। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উগ্রবাদী পোস্ট করতেন। সেসব পোস্ট বা ভিডিও আপলোডের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তৌকির হোসেনও মাদরাসার ছাত্র। এবং তার বিরুদ্ধেও ওবায়দুল্লাহর মতো একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, আরাফাত হোসেন নাঈম স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্র ও আনসার আল-ইসলামের সক্রিয় সদস্য। আফসানুর রহমান রুবেল পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। নাঈমকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেলকে রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Discussion about this post