ডেস্ক রিপোর্ট :
যশোরে অভয়নগর উপজেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের এক নারী সহকারী প্রোগ্রামারের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের শীর্ষ ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার অভিযোগ দেয়ায় উল্টো সেই নারীকেই অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৪ মার্চ অভয়নগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তাকে নানা অজুহাতে গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে থাকতে বাধ্য করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ রুবেলের মাধ্যমে তাকে কুপ্রস্তাব দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় ওই নারীকে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে উল্টো তাকেই বদলির নির্দেশ দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আমাকে অনেক নোংরা টাইপের কথা বলা হয়েছে।
এদিকে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা।
অভিযোগের বিষয়ে যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ রুবেল বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিনি এটা করেছেন।
অভয়নগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান বলেন, কোনো নারী কেন? আমি কোনো পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গেও কোনোদিন অশালীন আচরণ করিনি, কুপ্রস্তাব দেয়া তো দূরের কথা।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, কেউ অপরাধ করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
Discussion about this post