৩৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজার জেলার সাবেক ক্রিকেটার এরশাদুল হক রাজুকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাছের ঘেরের আড়ালে রোহিঙ্গারদের দিয়ে মিয়ানমার থেকে এনে মাদকের ব্যবসা করত সে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরা থেকে এরশাদুল হককে গ্রেফতার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি এরশাদুল কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় মাদকের গডফাদার।
রাজুুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডিএনসির উত্তর অঞ্চলের উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানিয়েছে, পাইকারি দরে ইয়াবা কিনতে নৌপথে রোহিঙ্গাদের দিয়ে মিয়ানমার ইয়াবা চালান সংগ্রহ করতেন। এর আগেও রাজু অনেকগুলো বড় চালান ঢাকার পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিজ্ঞাসাবাদে এরশাদুল হক রাজু জানান, উখিয়ায় তাদের একাধিক মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। এই মাছের প্রজেক্টের আড়ালে সে ইয়াবার ব্যবসা করতো। মাছ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় ম্যাগনেট ব্যবহার করে এবং আরও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঢাকায় ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসতো। এ কাজে তার একাধিক সহযোগী সদস্য রয়েছে এবং সে এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা।
তাঁর সাথে জড়িত আরো কয়েকজনেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এর আগেও সে অনেকগুলো বড় চালান ঢাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, পাঁচ বছর আগে এরশাদুল জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। তিনি জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন এবং বর্তমানে কক্সবাজার ক্রিকেটার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে আছেন।
Discussion about this post