কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা মাঝের পাড়ার নুরুল ইসলামের টগবগে যুবক মো. আরফান উল্লাহ রানা।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স করা এই তরুণের শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার।
গেলো দেড়বছরে সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে চারবার ভারতে গিয়ে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা খরচ করেছেন, কিন্তু তার মরণঘাতি ক্যান্সারের কোন উন্নতি হয়নি। আরফান এখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনছেন!
তার ভীষণ কষ্ট! তার একেকটা মিনিট যেন এক একেকটা দিন! একেকটা দিন যেন একেকটা বছর! তার নিদারুণ কষ্টের ভাগ কেউ নিতে পারছেন না।
মহান আল্লাহ চাইলে আরফান সুস্থ করে আবারও সুন্দর দুনিয়ার বুকে আরও কিছুদিন পথ চলতে পারবেন। কিন্তু সবই উপরওয়ালার ফায়সালা, তিনিই প্রাণ দেয়া আর নেয়ার মালিক।
আরফান রানা ক্যান্সারে তার যন্ত্রণার কিছু কথা নিজের হাতেই তুলে ধরেছেন। সে যে নিদারুণ কষ্টের কথা। এই কষ্ট যেন আল্লাহ আর কাউকে না দেন, এই দোয়া করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।
আরফান রানার কষ্টকর দিনের কথা পড়ে দেখুন:
ইয়া রাব্বি! ভীষণ কষ্টে আছি।
অজানা এক আতঙ্কে সমস্ত মন আচ্ছন্ন হয়ে আছে। আপনার নিরবতার ভাষা বুঝতে পারছি না। দয়া করে সাড়া দিন। দয়া করুন। কিছু তো বলুন!
হে অসীম রহমতের মালিক! আপনার অপার করুণায় আমার অন্তরের সমস্ত ক্ষত মুছে দিন। আপনার অসীম দয়ায় আমার সমস্ত শূন্যতা পূর্ণতায় বদলে দিন।
আপনি নীরব থাকলে নিজেকে খুব অসহায়, শক্তিশূণ্য মনে হয়! দয়া করে নীরব থাকবেন না। আমি নিঃস্ব এক ভিখারী আপনার দুয়ারে দু’হাত পেতে বসে আছি আপনার রহমত লাভের আশায়। কল্যাণ ও বরকত লাভের আশায়। আমার সকল নেক আশা পূরণ করে দেবেন, সেগুলো বুকে চেপে আজীবন আপনার দুয়ারে বসে শুকরিয়া করে যাব সে আশায়।
হে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের বাদশা! অসীম ভান্ডারের মালিক! আল হাইয়্যু আল কইয়্যুম! ইয়া যুল জালালি ওয়াল ইকরাম! আপনি বিমুখ হয়ে থাকলে কোথায় যাব! কার কাছে চাইব!
আমি ছাড়াও আপনার অনেক বান্দা আছে। আপনি ছাড়া আমার তো আর কোনো রব নেই। যাওয়ার যায়গা নেই। চাওয়ার যায়গা নেই।
আমার আর কোনো পুঁজি নেই, শুধু এই চোখের পানি ছাড়া। কবুল করুন। দয়া করে আর মুখ ফিরিয়ে থাকবেন না। নীরব থাকবেন না।
ক্ষমা করুন। মনের সমস্ত নেক আশা পূরণ করে দিন। আমার সমস্ত কষ্ট দূর করে দিন। অশান্ত অন্তরটাকে শীতল করে দিন।
আপনিই তো বলেছেন ভিক্ষুক দুয়ারে এসে হাত পাতলে আমরা যেন খালি হাতে ফিরিয়ে না দিই। আপনি কি তবে এই ভিক্ষুককে খালি হাতে ফেরাবেন, হে সুমহান দাতা??
আমার মতো আরো অনেক ভাই-বোন নীরবে কষ্ট পাচ্ছে। আপনার সাড়া ও রহমত লাভের আশায় নীরবে চোখের পানি ফেলে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে কবুল করুন। সবার নেক হাত ও চোখের পানির উছিলায় আমাদের সবার সমস্ত কষ্ট দূর করে দিন।
সবার মনের সমস্ত নেক আশা পূরণ করুন। আমিন।
লেখা ও ছবি: সিনিয়র সাংবাদিক আনছার হোসেনের ফেইসবুক আইডি থেকে নেওয়া।
Discussion about this post