নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলার নবম উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ঈদগাঁও উপজেলার অফিস সেট-আপ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) অতিরিক্ত সচিব (সমন্বয়) মো. রাহাত আনোয়ার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
উপজেলারটির জন্য মোট ২৪ টি অফিসের অনুকূলে ৪০ জন কর্মকর্তা ও ১৯৮ জন কর্মচারীসহ সর্বমোট ২৩৮ জন লোকবল নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরকে বলা হয়েছে।
অফিস সেট-আপ কাঠামোতে রয়েছে- উপজেলা নির্বাহী অফিসে কর্মকর্তা (সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত) একজন, কর্মচারী ১৫ জন। উপজেলা ভূমি অফিসে একজন কর্মকর্তা, ১১ জন কর্মচারী। থানা (পুলিশ স্টেশন) ১ জন কর্মকর্তা, ২৫ জন কর্মচারী। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৩ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রকৌশল অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১৬ জন কর্মচারী। উপজেলা নির্বাচন অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ২ জন কর্মচারী। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ২ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী। উপজেলা খাদ্য অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসে ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিসে (হাসপাতালসহ) ১০ জন কর্মকর্তা, ৩৭ জন কর্মচারী। উপজেলা কৃষি অফিসে অফিসে ৩ জন কর্মকর্তা, ২৪ জন কর্মচারী। উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ৭ জন কর্মচারী। উপজেলা মৎস্য অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ৮ জন কর্মচারী। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৭ জন কর্মচারী। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ১ জন কর্মচারী। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৯ জন কর্মচারী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ২ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী। উপজেলা সমবায় অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে ১ জন কর্মকর্তা, ৬ জন কর্মচারী।
ঈদগাঁও উপজেলার সদর দপ্তর ঈদগাঁও মৌজায় স্থাপিত হবে।
প্রসঙ্গত: গত ২৬ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস–সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ভার্চ্যুয়াল সভায় কক্সবাজারের ঈদগাঁওকে নতুন উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দেয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও পোকখালী নিয়ে গঠিত হলো ঈদগাঁও উপজেলা। বর্তমানে ৫ টি ইউনিয়নের লোকসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার।
ঈদগাঁওকে উপজেলা ঘোষণার জন্য দুই দশক ধরে আন্দোলন–সংগ্রাম করে আসছে এখানকার বাসিন্দারা। নির্বাচন এলে ভোটারদের দাবির মুখে পড়তে হয় জনপ্রতিনিধিদের। স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ ঈদগাঁও এলাকার সন্তান।
ঈদগাঁওবাসীকে প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য ৪০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার শহরের উপজেলা পরিষদে যেতে হতো। এখন হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে মানুষ। সঙ্গে এলাকার উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন এখানকার জনগণ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জনগণের দাবির মুখে ২০১৯ সালে ২২ জুলাই ঈদগাঁওকে উপজেলায় উন্নীতকরণ বিষয়ক চূড়ান্ত প্রস্তাবনা (প্রতিবেদন) জেলা প্রশাসক বরাবর দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পরে এই প্রস্তাবনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তর হয়ে স্থানীয় সরকারের সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ঈদগাঁও থানার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এটি কক্সবাজারের নবম থানা।
২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির (নিকার) সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করে ঈদগাঁও থানা গঠন করা হয়। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসস্টেশনের উত্তরে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের তুলাতলীতে থানা ভবন করা হয়।
Discussion about this post