কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘স্কুল হেলথ এন্ড নিউট্রিশন’ কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রঞ্জন বড়ুয়া রাজন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় পুরস্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ডা: রঞ্জন বড়ুয়া রাজন।
তিনি বলেন,মানুষ নিজেকে ভালবাসতে হলে নিজ স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ।পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা জানাটা ও জরুরী। তিনি আশা ব্যক্ত করেন,শেড ও এসিএফের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রকল্প সরকারের সহযোগীতায় মাইলফলক স্পর্শ করুক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ উমরাহ।
তিনি বলেন, ২০১২ থেকে এ পর্যন্ত এসিএফের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় কাজ করতে পেরে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।পুষ্টি সচেতনা ও অপুষ্টিহীনতায় শেড কাজ করে যাচ্ছে।
এসিএফের হেড অব ডিপার্টমেন্ট জজি আবুসেহো আগবোগান শেড, এসিএফ ও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেডের ডেপুটি ডিরেক্টর জিয়াউর রহমান বলেন,সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে শিশুদের মাঝে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শৈশব ও কৈশোরের সঠিক শারীরিক পুষ্টি ও বিকাশই করতে পারে তার ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত রচনা।
এসিএফের ডেপুটি হেড অব ডিপার্টমেন্ট ডা: হাসান বলেন,স্কুল পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। সামনের দিনগুলোতে আরো বড় পরিষরে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।
এসিএফের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মোতাহের হোসেন বলেন,স্কুল পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে ধারাবাহিক কাজ করবো যাতে পুষ্টি বিষয়ে আরও জানতে পারে।
এ কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রত্যেক স্কুল ও মাদরাসা থেকে ৬ষ্ট থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ক্লাস থেকে ১০ জন করে সর্বমোট ১৪০০ ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক ক্লাস থেকে ৩ জন করে পুরস্কার দেয়া হয়।বাকি ২৭ টি স্কুলে ধারাবাহিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
উপজেলা নিউট্রিশন কোর্ডিনেটর রমজান আলীর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল হাকিম বাবুল,সহকারী শিক্ষক রুবিনা খানম,এসিএফের পিএম মশিউর রহমান,শেডের এনপিও সাজিবুর রহমান, ইউনিয়ন আউটরিচ সুপারভাইজার মো: আলমগীর ও শাহরিয়ার ইকবাল।
Discussion about this post