নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া:
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের হাজম রাস্তার মাথায় এলাকাবাসীর আয়োজনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।মানববন্ধনে বক্তারা ধইল্যা ঘোনা ও হাজম রাস্তার মাথা এলাকার মাদকের আস্তানা উচ্ছেদ-টমটম চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেফতার দাবী ও উক্ত এলাকা অপরাধ মুক্ত এবং মাদক কারবারি সিন্ডিকেট কর্তৃক রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন, ব্যবসায়ী দিদার মিয়া, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নুর মোহাম্মদ বলি সহ ১১ জন নিরীহ প্রতিবাদী ব্যক্তিদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সর্বস্তরের জন সাধারণের উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুল হক আজাদ,রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এটিএম রশিদ,উখিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি, মাসুদ আমিন শাকিল,রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল উদ্দিন সুজন,উপজেলা শ্রমিকলীগের প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার সহ বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ।
এতে বক্তারা বলেছেন, রাজাপালং ইউনিয়নের ধইল্যা ঘোনা ও হাজম রোড মরণ নেশা ইয়াবা, মদ ও গাঁজার ডেরায় পরিণত হয়েছে।এসব মাদকের ডেরায় সেবনকারীদের যেন নিরাপদ আস্তানা।মাদকের টাকা যোগাড় করতে প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাই সহ বহুমুখি অপরাধ কর্মকান্ড ঘটছে।
সম্প্রতি সময়ে ধইল্যা ঘোনা ও হাজম রোড এলাকায় অবাধে ইয়াবা, মদ ও গাঁজা খোরদের দৌরাত্ন্য যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে মানুষের ঘর বাড়ি ও দোকান চুরির মত অহরহ অপরাধ মুলক ঘটনা।

একাধিক মাদক কারবারি মাদক বেচাবিক্রির দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে আসে।ধইল্যা ঘোনা এলাকার মৃত আবু বক্করের পুত্র দিলু, দিলুর স্ত্রী রোকেয়া বেগম, মাজার গেইট এলাকার বাকসু ফকিরের পুত্র হামিদ ও নজির আহমেদ, নজির আহমেদ’র স্ত্রী আজু মেহের গং নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক বেচাবিক্রি ও চুরি ছিনতাই করে আনা মালামাল ও টমটম চোর সিন্ডিকেট।
গত ১৪ নভেম্বর রাতে টমটম গাড়ির ব্যাটারি চুরি করার সময় হাতেনাতে জনতার হাতে আটক হয় ধইল্যা ঘোনা এলাকার দিলুর পুত্র কালু,টিএন্ডটি গুচ্ছ গ্রামের লায়লা বেগমের পুত্র আক্কাস ও কুতুপালং পশ্চিম পাড়ার চাঁন্দ মিয়ার পুত্র মোশাররফ।পরে গণ্যমাণ্য ব্যক্তিগণের কাছে দিলুর পুত্র চোরাকালু,টিএন্ডটি গুচ্ছগ্রামের লায়লা বেগমের পুত্র আক্কাস ও কুতুপালং পশ্চিম পাড়ার চাঁন্দ মিয়ার পুত্র মোশাররফ চুরি করার বিষয় স্বীকার করেন।যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
কিন্তু এঘটনায় উল্টো তাদের অপহরণ পুর্বক মুক্তিপণ দাবি’র কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, গণমান্য ব্যক্তি যারা চুরিকান্ডে বাঁধা প্রদানকারি ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।যার সি-আর মামলা নং-৭৭৪/২০২৩ ইং।

হাজম রোডস্থ সমাজ কমিটির সভাপতি ও উখিয়া উপজেলা বাঁশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দানু মিয়া বলেন,ক্রাইমজোন হাজম রোডে কিছু চোর নিয়মিত চুরি কান্ড ঘটাচ্ছে তাদের মধ্যে কালু, আক্কাস ও মোশাররফ অন্যতম।তাদের পরিবার মাদক বেচাবিক্রিতেও জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার করলে পুরো উপজেলায় চুরির প্রবণতা কমিয়ে আসবে বলে মনে করেন।হাজম রাস্তার মাথা এলাকার টমটম চালক মোক্তার বলেন, আমার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন কিস্তিতে নেওয়া টমটম গাড়িটির ব্যাটারি চুরি হওয়ার কারণে আমি নি:স্ব হয়ে এখন পথের ফকির হয়ে গেছি।আমি এসব চুরির ঘটনার প্রতিকার চাই। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মাদকের আস্তানা উচ্ছেদ এবং মাদক কারবারিদের গ্রেফতারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
ধইল্যা ঘোনা ও হাজম রাস্তার মাথায় অপরাধ কর্মকান্ডে নির্মুলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামিম হোসাইন।
Discussion about this post