বিডি দর্পণ ডেস্ক:
কক্সবাজারের উখিয়ায় নামে-বেনামে অধিকার বাস্তবায়নের কথা বলে প্রায় সময় সড়কে নৈরাজ্য করছে ‘অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি পালংখালী’ নামে একটি সংগঠন।
সূত্র জানায়, পালংখালীর এই কমিটিতে সদস্য নেওয়ার নাম করে উখিয়ার পালংখালীর সাধারণ ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে শতশত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও তারা সংগঠন ও চাকরী প্রত্যাশী বেকার যুবকদের আবেগ বিক্রি করে ঠিকাদারি করতে চায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করেন। এ নিয়ে জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বাস্তুচ্যুত হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শুরু থেকেই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া স্থানীয়দের পক্ষে সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ বঞ্চিত স্থানীয়দের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদ ও সহযোগিতা করে আসছে।
শুরুর দিকে স্থানীয় কিছু ছেলে-মেয়েদের চাকরী দিলেও পরে এনজিওতে বড় বড় কর্মকর্তাদের স্বজনপ্রীতির কারণে বাদ দেয়া শুরু করে।
ওই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয়দের চাকরী নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও স্থানীয়দের চাকরী থেকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রথম স্থানীয়দের পক্ষে ‘অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়া’ আন্দোলন শুরু করে। যা ছিল শান্তিপূর্ণ ও গ্রহনযোগ্য আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়া’র আহ্বায়ক শরিফ আজাদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। নিচে সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো –
“অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়া’র নাম দিয়ে কেউ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা করলে এর দায়ভার অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়া নিবেনা। কিছু কিছু ধান্ধাবাজ তাদের নিজস্ব ফায়দা লুটতে স্থানীয়দের দাবির কথা বলে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি স্থানীয়দের দাবী আদায়ে অতীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। ভবিষ্যতেও অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে।”
উক্ত ফেসবুক পোস্টে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
নুরুল বশর নামের একজন লিখেন, অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি কয়টি বলবেন কি?
সোহেল রানা লিখেন, কোটবাজারে আমরা যখন প্রথম অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়া নাম দিয়ে মাঠে নেমেছিলাম তখন তারা কোথায় ছিলো, জানতে চাই।
এম.ডি তারেক হাসান লিখেন, এই রকম প্রমাণ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এছাড়াও এটিকে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সংগঠন বলছেন কেউকেউ। আর অনেকেই জানতে চায় তাদের প্রকৃত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কি?
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ জানান, এধরনের সরাসরি কোনো অভিযোগ আসেনি। কিন্তু সড়কে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা ও যানযট সৃষ্টি করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যেকোনো শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করা যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস শুরু করে। এর ফলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থানীয় মানুষ।
Discussion about this post