হানিফ আজাদ, উখিয়া –
উখিয়ার রোহিঙ্গাকবলিত কুতুপালং বাজারে বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড নিয়ে ঔষধের দোকান গড়ে কোটিপতি হয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ক্যাডার ফয়সাল আনোয়ার। সে বিউটি ফামের্সির আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা কামাই করেছে। কুতুপালং বাজারে ছমিউদ্দিনের মার্কেটে তার এ দোকান। ১৯৭৮ সালে মিয়ানমার সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন করলে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বেশিরভাগ মিয়ানমারে ফেরত গেলেও কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থেকে যায় সে সময়।
এ রোহিঙ্গা ডাক্তার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া ঠিকানা দিয়ে বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড করেছে। নাম লিখেছে ভোটার তালিকায়। তার নাম ফয়সাল আনোয়ার বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গাকবলিত বাজারে অর্ধশতাধিক অবৈধ ওষুধের দোকান রয়েছে বলে সূত্রে জানায়। কতিপয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ওইসব ওষুধের দোকান চলছে বলে জানা যায়। সম্প্রতি কুতুপালং ৭নং ক্যাম্পের সিআইসি জিপি দেওয়ান নুরুল হক নামের একজন স্থানীয় লোকের ফার্মেসি থেকে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা বিভিন্ন প্রকার ঔষধ জনগণের উপস্থিতিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। কয়েকদিন কুতুপালং ক্যাম্পের সংশ্লিষ্ট সিআইসিরা মাইকে রোহিঙ্গা ডাক্তারদের জানিয়ে দিয়েছে দোকান বন্ধ করতে। এ ছাড়াও ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্বর্ণের দোকান ও কম্পিউটারের দোকান চালানো যাবে না।
উখিয়ার মনির মার্কেট এলাকার স্থানীয় নুরু হকের ঔষধের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ায় সে বর্তমানে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ বলেন, ওষুধ জব্দ করলেও প্রশাসন জনগণের মাল পুড়িয়ে ফেলতে পারে না। তিনি আরও বলেন রোহিঙ্গা চাকরিরত ক্যাম্প ইনচার্জরা রোহিঙ্গাদের থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিচ্ছে। ফলে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে প্রতিনিয়ত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুনাখুনির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে তিনি ওইসব কতিপয় ক্যাম্প ইনচার্জদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কুতুপালং বাজার কমিটির সভাপতি ৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ছমিউদ্দিন মার্কেটে একজন রোহিঙ্গা ডাক্তারের ঔষধের দোকান রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন ওই রোহিঙ্গা ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post