এইচ.কে রফিক উদ্দিন:
ডাম্পারের ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল উখিয়ায় বিভিন্ন এলাকায়।
শুক্রবার (১২ফেব্রুয়ারী) বিকেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ষ্টিকার লাগানো নাম্বার বিহীন একটি ডাম্পার কোটবাজার থেকে জনতার সহযোগিতায় উখিয়া থানা পুলিশ আটক করে।
সরজমিনে জানাযায়, গাড়ীর কোন নাম্বার ছিলনা, বৈধ কোন কাগজ পত্র গাড়ীর ড্রাইভার দেখাতে পারেনি। এবং তার নিজের ও কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলনা।
তাৎক্ষণিক গাড়ীর ড্রাইভার কাছে মালিকের নাম জানতে চাইলে মালিক হিসেবে জালিয়াপালং এর চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নাম বলেন।
তবে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের পুত্র শাহ আমিন সাংবাদিকদের তার বাবার নামটি না লিখতে অনুরোধ করেন। এবং আজকের দিনের মধ্যে ড্রাইভারের চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানান।
কিন্তু পরে শাহ আমিন তাদের গাড়ী নই বলে দাবি করেন।
ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,গাড়িটির প্রকৃত মালিক উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, তবে অবৈধ এসব ডাম্পার গুলো তার শ্যালক পরিচালনা করেন বলে জানাযায়।
সুত্র জানায়, নৌ-বাহিনীর ষ্টিকার সংযুক্ত লাইসেন্স বিহীন অবৈধ গাড়ি দিয়ে অনেকদিন ধরে একটি মাটি খেকো চক্র পাহাড় নিধন করে যাচ্ছিল।
এই বিষয়ে নৌ-বাহিনীর প্রকল্প ম্যানেজার টিটুর সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম্বার বিহীন ডাম্পার তাদের কার্যক্রমে নিয়োজিত নেই বলে জানান, আটককৃত ডাম্পার কেবল প্রতারণা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
হাইওয়ে পুলিশের ওসি মারুপ বলেন, কোটবাজার পেট্রোল পাম্প থেকে একটি নৌবাহিনীর ষ্টিকারযুক্ত গাড়ী আটক করেছি। পরে গাড়ীটি মামলা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। গাড়ীতে আর নৌবাহিনীর ষ্টিকার না লাগানোর জন্য বলেছি।
উল্লেখ্য,শুক্রবার নির্ঘুম রাত কাটিয়ে সিএনজি গাড়িতে করে ছদ্মবেশে রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ডাম্প ট্রাকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ।এসময় তিনি চালকসহ ৩ টি ডাম্প ট্রাক আটক করেন।
Discussion about this post