ফারুক আহমদ, উখিয়া –
উখিয়ায় ৭টি বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৫ শত স্থানীয় জনগোষ্ঠী দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় গ্রহণের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট এসব শেল্টারে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগকালীন সময়ে জনগোষ্ঠীর আশ্রয় গ্রহণ ও স্থানীয় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেন। আর এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করার জন্য এগিয়ে আসেন বিশ্ব ব্যাংক।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭ টি বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র গুলোর মধ্যে ৩ টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অপর ৪ টির নির্মাণের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ শেষ। ৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, রত্নাপালং ইউনিয়নের রত্নাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র, পশ্চিম হলদিয়া পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র ও সাবেক রুমখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডাইরেক্টরের উপস্থিতিতে নতুন নির্মাণকৃত আশ্রয় কেন্দ্র গুলো বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নির্মাণাধীন হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মধ্যম হলদিয়া পালং, রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্ব ভালুকিয়াপালং তুলাতুলি ও করইবুনিয়া এবং রাজাপালং ইউনিয়নের লম্বাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয় কেন্দ্র। বর্তমানে কাজের ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী জানান, অত্র ইউনিয়নে তিনটি বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ বর্তমান সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রামের মানুষগুলো আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ পাবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম আরও জানান, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র গুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সিডিউল অনুসারে গুণগত মান বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়। এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি সরোজমিন পরিদর্শন করেন।
এদিকে রত্নাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নোমান চৌধুরী জানান, বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ হওয়ায় সুন্দর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহরাব আলী জানান বলেন, এসব শেল্টার নির্মাণ হওয়ায় প্রাকৃতিক দূর্যোগকালীন সময়ে প্রতিটি শেল্টারে ১ হাজার ৫ শত লোক আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবে এছাড়াও ৩ শত গবাদিপশুর রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজের মতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৭ বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করায় শত শত শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষ সংকট দূরীকরণসহ লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।
Discussion about this post