নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া:
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে সভাপতি হওয়া জনৈক ছমি উদ্দিন কে সভাপতি পদ থেকে প্রত্যাহার চেয়ে সভাপতি পদে হেলান উদ্দিন কে নিয়োগ দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কুতুপালং বাসি।
৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আমিন শাকিল, রাজাপালং ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাব্বি, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ রাজাপালং ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলাম, যুবনেতা মোঃ আলী, মোঃরুবেল, কুতুপালং পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক অপু বড়ুয়া সহ শত-শত অভিভাবক-অভিভাবিকা।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য আমান উল্লাহ মৌল্লা, আওয়ামীলীগ নেতা বুলু মিয়া, আবুল হোসেন, সমাজ নেতা মোঃরসিদ, যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম, নুরুল আবছার, কৃষকলীগ নেতা আবদুর রহিম সহ সহস্রাধিক মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়।
প্রতিবাদী বক্তব্যে বক্তারা অবিলম্বে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ থেকে দূর্নীতিপরায়ন সভাপতি ছমি উদ্দিন কে অপসারণের দাবী জানিয়ে কুতুপালংয়ের উন্নয়নের প্রতীক হেলাল উদ্দিন কে সভাপতি পদে স্থলাভিষিক্তের দাবী জানান।
এসময় শত-শত নারী-পুরুষ, অভিভাবক-অভিভাবিকা এবং শিক্ষার্থীরা হাত উছিয়ে ছমি উদ্দিন কে সভাপতি হিসেবে চাইনা,হেলাল উদ্দিন কে সভাপতি চাই মর্মে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বক্তারা আরো বলেছেন,রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এড. মোঃ ছমি উদ্দিনের বক্তব্য’ শিরোনামে যে সংবাদটি ছাপানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
মরহুম মৌলভী বখতিয়ার আহমদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ১৭ বছর ইউপি সদস্য হিসেবে জনসেবা করে গেছেন। তাহার মৃত্যুর পর ছেলে হেলাল উদ্দিনউপ-নির্বাচনে বিপূ্ল ভোটের ব্যবধানে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে পরাজিত করে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি ইউপি সদস্য হিসেবে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ বছর সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন বক্তার মেম্বার।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের উখিয়া উপজেলা সভাপতি এবং রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।তাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সংসদ সদস্য হেলাল উদ্দিন কে সভাপতি পদে নিযুক্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের বরাবর সুপারিশ করেন৷
কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্রকারী,যারা বিভিন্ন মিথ্যাচার করে স্কুলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়। বিশেষ করে কুতুপালং গ্রামের একজন ব্যক্তি, যিনি কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ভরাডুবি হয়, তিনি সবসময়ই চায় এলাকার উন্নয়ন বঞ্চিত করতে। তারাই মূলত মরহুম বক্তার মেম্বারের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকার কুতুপালং গ্রামে বিশাল উন্নয়ন করেছে। যা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। যারা মিথ্যাচার করছেন তৎমধ্যে ছমি উদ্দিন নামক ব্যক্তিটি একজন মুখোশধারী ব্যক্তি, তিনি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি অসংখ্য মানুষকে জামিনের কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তাছাড়া ওই ছমি উদ্দিন চট্টগ্রামের আলোচিত এইট মার্ডারের শিবিরের নেতা নাছির সহ অপরাপরদের জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নেওয়ার অভিযোগে সনদ বাতিল হয়েছিল। সে কুতুপালংয়ের ভোটার হলেও তার কোন অস্তিত্ব নেই এলাকায়। জনবিচ্ছিন্ন একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তিনি।কুতুপালংয়ে ১৫/১৬জন ব্যবসায়ির নিকট থেকে সেলামী বাবদ ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । এসব টাকা চাইতে গিয়ে অনেকেই মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
বক্তারা বলেছেন, ছমি উদ্দিন দীর্ঘ ৬ মাস কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি থাকাকালীন স্কুলের কোন উন্নয়ন হয়নি, বরং রোহিঙ্গা ছাত্র ভর্তি এবং অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হিসেবে হেলাল উদ্দিন প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে।মৌলবী বখতেয়ার বেঁচে থাকতে তার সাথে জমির বিরোধ ছিলো ছমি উদ্দিনের। তার দখলে থাকা জমিতে বর্তমানে হেলালদের জমি আছে। যার বিএস ৭৮৬২,৭৮৬৩ নং দাগ। এসব জমি চাইবে বলে সে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
হেলাল নাকি কিসের বায়তুল মাল সম্পাদক ছিল, এধরণের কোন প্রমাণ যদি দেখাতে পারেন, তাহলে শাস্তি মাথা পেতে নেবে হেলাল। আর মরহুম বখতেয়ারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা।যা বানোয়াট। যার কারণে ওই মামলায় নির্দোষ প্রমানিত হয় সে। অথচ ওই মামলার বিভিন্ন অজুহাতে ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিল ছমি উদ্দিন৷মিথ্যা মামলার পেছনে হাত রয়েছে জনৈক এড.ছমি উদ্দিনের।
তারাই আমার পিতাকে হত্যা করেছে বলে বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে হেলালদের অনেক জায়গা তার দখলে রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তারা মৌলবী বখতেয়ারের মতো হেলালকেও মামলা, হামলায় জড়িয়ে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলবে মর্মে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
হেলাল একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। আশাকরি এ বিষয়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করবেন। পরিশেষে উক্ত দুনীতিবাজ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সভাপতি পদ হতে সরিয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিভিন্ন শ্রেনীপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অভিভাবক মহল।
Discussion about this post