নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্ট ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার (২৮) নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
আটক সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ নোমানের ছোট ভাই। সে উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের শাদৃকাটা এলাকার সাবেক ক্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ আলম এর পুত্র।
রামু ব্যাটালিয়ন ৩০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. ইব্রাহীম গণমাধ্যমেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মরিচ্যা বাজার থেকে এক ইয়াবা পাচারকারি একটি ইয়াবার চালান নিয়ে পায়ে হেঁটে চেকপোস্ট পার হচ্ছে।
খবর পেয়ে দুপুর ১২ টার দিকে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার (২৮) কে চেক পোস্টে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা তল্লাশি করে।তল্লাশিকালে তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে লুকায়িত অবস্থায় ৫ টি প্যাকেটে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১,০০০/-টাকা মূল্যের ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ মালামালের মূল্য ৩০ লক্ষ ১ হাজার টাকা।
আটক আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, লেঃ কর্নেল ইব্রাহিম।
সূত্রে জানা গেছে বিজিবি হাতে ইয়াবাসহ আটক সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বড় ভাই উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান ও ছোট ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদের বিরুদ্ধেও মাদকদ্রব্য মামলা রয়েছে। এমন কি তার পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।

এদিকে ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার আটকের ঘটনায় তার পরিবার ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা এটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, রামুর মরিচ্যা চেকপোস্টে ১০ হাজার ইয়াবাসহ কোটবাজারের ব্যবসায়ী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার কে আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ ও তার পরিবার।
শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আটক কায়সারের পিতা বলেন, আমার ছেলেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোটবাজার দোকান থেকে ধরে নিয়ে মরিচ্যা চেকপোস্টের বিজিবি সদস্যরা ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় আমার পরিবারের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট হয়েছে। বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও করছে একটি কুচক্রী মহল।
কায়সারের ভাই উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছৈয়দ মো. নোমান বলেন, কেনো আমার ভাইকে কোটবাজার থেকে ধরে নিয়ে মরিচ্যা চেকপোস্টে আটক দেখানো হয়েছে সেটা পরিষ্কার করে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
কারা ষড়যন্ত্র করছে সে প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, বাড়ির নিকটস্থ রফিক উদ্দিন বাবুল এ ঘটনায় জড়িত আছে বলে সন্দেহ হয়। পুরো ঘটনায় বিজিবির সাথে ভালুকিয়ার সোহেল ছিলো এবং সে সোর্স হিসেবে কাজ করে বলে দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা আতংকে রয়েছি। নিরীহ মানুষকে মাদকের সংশ্লিষ্টতা দেখিয়ে আটক দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
যারা প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী তাদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে মালিক সমিতির কোনো আপত্তি নেই। ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে কায়সারকে অব্যাহতি না দিলে আগামীতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post