শফিক আজাদ, উখিয়া –
মুজিববর্ষে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা অনুযায়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দেয়া হতে যাচ্ছে ঘর ও দলিল।
আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যা প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই হিসেবে উখিয়ায় ১০০টি ঘরের মধ্যে কাল ৩৫ গৃহহীন পরিবার মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গৃহহীন প্রতিটি পরিবার পাবেন ২ শতাংশ খাস জমির মালিকানা এবং দু’কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন ও জলোচ্ছাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এদেশের অনেক মানুষ হয়ে পড়ছে ভূমিহীন। সেই সাথে রয়েছে দারিদ্র্যের মতো কারণও। তবে ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রায় ৯ লাখ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহ ও ভূমিহীন এসব পরিবারকে ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার।
নানা অসহায়ত্বের গন্ডি পেরিয়ে, ঘর পাওয়া এসব মানুষ গুলো এখন নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সের আশ্রয়হীন মানুষের স্বপ্নের কাছে পরম নিরাপদ আশ্রয় এই ঘরগুলো।
আগামীকাল শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় উপকারভোগিদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বুঝিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মাসের মধ্যেই বরাদ্দ করা হবে আরও ১ লাখ ঘর।
এই উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি৷ প্রধান অতিথি উখিয়ায় উপস্থিত থাকবেন উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন আকতার। তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমিমুল এহসান খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মামুন। এসময় সাথে ছিলেন উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ, রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম আজাদ, অর্থ সম্পাদক এম সালাহ উদ্দিন আকাশ, দপ্তর সম্পাদক রফিক মাহমুদ, মাস্টার মেধু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ।
Discussion about this post