তরুণদের কার্যকর সম্পৃক্ততা ছাড়া টেকসইভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নে তরুণদের সস্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই।
মোহাম্মদ আরাফাত আলম—একজন জলবায়ুযোদ্ধা। সে একজন শিক্ষার্থী ও তরুণ। মাধ্যমিক থেকে সামাজিক ও মানবিক কাজে জড়িত। সেই সুবাদে সে একজন সেচ্ছাসেবক।
মোহাম্মদ আরাফাত আলম প্রকৃতিপ্রেমী একজন তরুণ। বর্তমানে পৃথিবীর উষ্ণতার কথা চিন্তা করে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে সে। এজন্য ‘জাস্টিস ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ নামে একটি সংগঠনে পরিবেশ রক্ষায় বেশকিছু তরুণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে।
এসব কার্যক্রম নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। মোহাম্মদ আরাফাত আলম বলেন, ‘আমি একজন সেচ্ছাসেবক। শুরুর দিকে মানবিক কাজগুলোতে নিয়োজিত ছিলাম; কিন্তু বর্তমানে আমি একতরফাভাবে জলবায়ু নিয়ে কাজ করছি। ‘জাস্টিস ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ নামে একটি প্লাটফর্মে জলবায়ু নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মুখে পড়তে হয়ছে। অনেকে সুনাম করেন আবার অনেকে বিষয়টি নেতিবাচকভাবে নিয়ে সমালোচনা করেন। কিছু মানুষ এ জলবায়ু নিয়ে কাজ করাকে ভালোভাবে নিতে পারছে না। তবুও আমি দমে যাইনি। আমি এদের কথায় কান দিইনি।’
‘আমি পৃথিবীর জন্য কাজ করতে চাই।
পৃথিবীটা সুন্দর হোক এটাই আমি সবসময় চাই, আর কোনো চাওয়া নেই’— আরাফাত বলেন।
আরাফাত মনে করছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের তরুণ সমাজকে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও গ্রিন হাউস নির্গমন কমিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
আরাফাত তার কার্যক্রমের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, প্রতিমাসে একটি করে প্লাটফর্মের মাধ্যমে জলবায়ু সচেতনতামূলক মানববন্ধন করছে। বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে জলবায়ু সচেতনতামূলক প্লে-কার্ড নিয়ে র্যালি করছে। এবং সম্প্রতি বৃক্ষরোপণের একটি বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে যা বাস্তবায়নের পথে।
আরাফাত বিগত দেড় বছর ধরে জলবায়ু নিয়ে কাজ করছে।
আরাফাত মনে করছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। সময় এখন তাদের। তরুণদের কার্যকর সম্পৃক্ততা ছাড়া টেকসইভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আরাফাত চায় তার সাথে আরও অনেক তরুণ একসঙ্গে কাজ করুক এবং সবার মাঝে একতা থাকলে কোনো চ্যালেঞ্জই কঠিন হবে না বলে সে মনে করছে।
মোহাম্মদ আরাফাত আলম বান্দারবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা। ইতোমধ্যে সে তার কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার এমন উদ্যোগে গর্বিত নিজ এলাকার মানুষ। সে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে চায় এবং সবার সহযোগিতা চায়।
Discussion about this post