২০২১ সালে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা দায়েরসহ ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে বহুমুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০২১ সালেই ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা দায়েরসহ ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৫৫৪টি মামলা দায়েরসহ ৮৩ হাজার ১২৩ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মাদক চোরাকারবারিদের দমনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত, ২০২০) প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত আইনে মাদক অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত, ২০২০) এর ধারা ৬৩ অনুযায়ীও চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে, (১) জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি, (২) জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি (৩) জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি, (৪) উপজেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচার কমিটি। কমিটিসমূহ সভা আহ্বানের মাধ্যমে খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বহুল অপব্যবহৃত মাদক ইয়াবার প্রবাহ বন্ধে টেকনাফে ২৯ জন জনবল নিয়ে একটি বিশেষ জোন গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক পাচার হয়। এ কারণে মাদকের প্রবাহ প্রতিরোধে ভারতের সঙ্গে সাতটি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে এ পর্যন্ত পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Discussion about this post