রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ২২৯ কেন্দ্রের মধ্যে ২০০ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ১৩৯ ভোটে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৮৪ ভোট।
নিকটতম অবস্থানে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৮৯ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন। তিনি হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৮০ ভোট। চতুর্থ অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৫ ভোট।
এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী আবু রায়হান ডাব প্রতীকে ৯ হাজার ২৪২ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান মশাল প্রতীকে ৪ হাজার ৫১১ ভোট, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৫৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি হরিণ প্রতীকে ২ হাজার ৩৩৪ এবং খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকে ২ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। তবে কিছু কেন্দ্রে নিয়ম অনুযায়ী সাড়ে চারটার আগে উপস্থিত হওয়া ভোটারদের নির্ধারিত সময় শেষেও ভোট প্রদান করেছেন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৮ জনসহ সর্বমোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৩০নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ জুন ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইবার এক লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট এবং বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট।
২০১২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ১২৮ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ জন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এক লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট।
ওই বছর ভোটার সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও নারী এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।
Discussion about this post