বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার:
কক্সবাজার জেলায় শুরু হয়েছে মানবদেহে করোনার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম। সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলায়ও রবিবার সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে অনুস্টিত টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুস্টানে উপস্থিত ছিলেন-মহিলা সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া প্রমুখ। জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।
এর আগে শনিবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছিলেন-সদর উপজেলা ছাড়া জেলার বাকী ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একং রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আগামী ৮ বা ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে মানবদেহে করোনার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা যায়-৬ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) জেলা ইপিআই স্টোর থেকে নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় রেখে করোনার ভ্যাকসিনগুলো বিভিন্ন উপজেলা ও রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে-জেলায় করোনার ভ্যাকসিন নিতে সরকার নির্ধারিত ক্যাটাগরিতে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠির ১৫ ক্যাটাগরীর তালিকা থেকে জেলায় প্রায় ৩৯ হাজার জনের তালিকা তৈরি করা হয়।
এরমধ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর উপজেলায় রেজিষ্টেশন করেন ১ হাজার ব্যক্তি। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারী দেশে করোনার টিকা বিতরণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলায় পৌঁছে ৮৪ হাজার করোনা ভাইরাসের টিকা। ৩১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেক্সিমকো ফার্মার একটি কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব টিকা এসে পৌঁছায়।
কক্সবাজার জেলা ইপিআই সেন্টারে টিকা নিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি এসে পৌঁছালে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান এই টিকা গ্রহন করেন। ৮৪ হাজার টিকা জেলার ৪২ হাজার জনকে দুই ডোজ করে দেয়া হবে।
Discussion about this post