নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে থামছে না মৃত্যুর মিছিল। সড়কে শৃঙ্খলা না থাকা ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে একের পর এক হতাহতের ঘটনা ঘটছে যা সচেতন মহল কে বিস্মিত করে তুলেছে। এই নিয়ে বছরের প্রথম মাসের ২০ দিনের ব্যবধানের ৭ জনের বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে শতাধিক।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে উখিয়ার পালং গার্ডেন এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।গুরুতর আহত রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামের জাফর আলমের ছেলে সিটি কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্র এহসানুল হক মিসেল (২৩) কে চট্টগ্রাম মেডিলকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২০ জানুয়ারি রাত ২:৩০ টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার কাস্টমস টিভি টাওয়ার এলাকায় টেকনাফমুখী সেন্টমার্টিন পরিবহনের সাথে টমটমের (ইজিবাইক) মুখোমুখি সংঘর্ষে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের জাফর আহমেদ (৩২) ও নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মনির আহমদ (৩০) নিহত হন।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার পালংখালী এলাকায় কক্সবাজার থেকে টেকনাফমুখী ট্রাকের সঙ্গে হোয়াইক্যং থেকে উখিয়ার কুতুপালংগামী এক মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী র্যাব- ১৫ এর সদস্য লেন্সনায়ক তরিকুল ইসলাম নিহত হন।
শনিবার (২৫ শে ডিসেম্বর ২০ইং) উখিয়া কলেজ গেইট এলাকার বাসিন্দা, কক্সবাজার ইন্টান্যাশনাল কলেজের মেধাবী ছাত্র নাসির উদ্দীন সোহেল ইনানীর মেরিন ড্রাইভ সড়কে আকস্মিক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ৩১শে ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর ২০ইং) কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস এলাকায় মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঘিলাতলী পাড়ার ছৈয়দ মিয়ার ছেলে মো: ইব্রাহীম (২৭) ঘটনাস্থলে নিহত হন।
গত নবেম্বর মাসেও দ্রুত গতিতে বাইক চালাতে এশিয়ান হাইওয়ে রোডে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক রোহিঙ্গা যুবক।
উখিয়া শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মারুফুর রহমান প্রতিবেদকে জানান, দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশ সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করেছে।
Discussion about this post