দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সৈকতের বালিয়াড়ি দখল আর দুষনের রাজত্ব চলছে। এতে করে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটে পড়েছে কক্সবাজার। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সৈকতের বালিয়াড়ির দখল আর পরিবেশ দুষন বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এতে করে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পর্যটক হারাতে বসেছে কক্সবাজার সৈকত।
সুগন্ধা পয়েন্টের নীলিমা রির্সোটের পয়ঃবর্জ্য ও আশপাশের অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন খাবারের দোকানের বর্জ্য বালিয়াড়িতে পড়ছে এ নিয়ে গণমাধ্যমে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের টনকনড়েনি।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের নীলিমা রির্সোটের পাশ দিয়ে বালিয়াড়িতে জমেছে বিশাল ময়লা স্তুপ। সেখানে থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। পর্যটকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চলাচল করতে পড়ছে চরম বিড়ম্বনায়, এমন কি নাকে রুমাল দিয়েও দুর্গন্ধ থেকে বাঁচা যাচ্ছে না।
বছরে কোটি পর্যটকের সমাগম হওয়া বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ির পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে চরম অসন্তোষ পর্যটকসহ স্থানীয় সচেতন মহল। বিশেষ করে সুগন্ধা পয়েন্টের সৈকত পাড়ে অবৈধ দখলদারদের গড়ে উঠা বিভিন্ন ঝুপড়ী দোকান, রেস্তোরাঁসহ নানান খাবারের দোকান ও জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ দেওয়া পাবলিক টয়লেট এবং অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা নীলিমা রির্সোটের পয়ঃবর্জ্য, খাবারের দোকানগুলোর দুষিত পানির দুর্গন্ধ এবং পাশাপাশি গরু ও বেওয়ারিশ কুকুরের অবাধ বিচরণসহ নানান সমস্যায় অতিষ্ঠ ভ্রমন পিপাসো পর্যটকদের।
কক্সবাজারে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক এমন নানাবিধ অব্যবস্থাপনার জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ব্যবসায়ীদের দায়িত্বহীন আচরণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় প্রশাসনের অক্ষমতার কারণে প্রতিনিয়ত পর্যটন এলাকা মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। দ্রুত সমন্বিত উদ্যোগ নিতে না পারলে সমুদ্র সৈকত চলাফেরার অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
Discussion about this post