কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ক্যান্সার প্রতিরোধী টক আতা ফল চাষে সফলতা পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাষকৃত এই অপার সম্ভাবনাময় ফলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ক্যান্সার প্রতিরোধক এই টক আতার উৎপত্তিস্থল দক্ষিন আমেরিকা।
কাপ্তাই কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর পূর্বে চারা এনে লাগানো হয় রাইখালী কৃষি গবেষনা ফার্মে। ২ বছর হচ্ছে গাছ গুলোতে ফল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি গাছে ১৫ থেকে ২০ টি ফল ধরে। যার প্রতিটির ওজন প্রায় ১ কেজির মতো।
এই ফলটি দেখতে খুব সুন্দর এবং সারা গায়ে খাঁজ কাটা থাকে। টক আতার গায়ের রঙ কাঁচা অবস্থায় সবুজ আর পাকা অবস্থায় হাল্কা হলুদ-সবুজের মিশ্রনে তৈরী হয়।
এ ফলটি সর্সপ, গ্রিভিওলা, ক্যাস্টার্ড আপেল, পাউপা, গায়াবানো এবং গুনাবান নামেও পরিচিত। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ এই টক আতা ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এছাড়া টক আতা ফল এবং এর গাছের পাতা ও বাকলের রস মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে বলে গবেষণায় জানা যায়। শুধু তাই নয়, এই গাছের পাতা নিয়মিত সিদ্ধ করে খেলে ব্লাড সুগার কমে, হাইপারটেনশন থেকেও মুক্তি মেলে বলে জানা গেছে।
কাপ্তাই রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, এই ফলটি বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে গত পাঁচ বছর ধরে রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক একটি ফল হিসেবেও সকলের কাছে পরিচিতি পেয়েছে।
তাই উক্ত কেন্দ্র থেকে গবেষণা করে যদি অপার সম্ভাবনাময় এ ফলটির একটি জাত উদ্ভাবন করা যায় এবং সেই জাতটি পাহাড়ের বিভিন্ন ফল বাগানে সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবে বলে তিনি মনে করেন।
Discussion about this post