আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশ্বের ৬৯ কোটি মানুষ। সবাই একযোগে কাজ করলে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়া কঠিন হবে না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এফএওর নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে।
তিনি বলেন, এ জন্য খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। বার্লিনে অনুষ্ঠিত অ্যাগ্রিকালচার মিনিস্টারস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃষিবিষয়ক কমিশনার বলেন, ২০৫০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হবে বিশ্বের প্রথম জলবায়ু সহনীয় প্রাকৃতিক মহাদেশ। সারাবিশ্বে নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতে উন্নয়ন অংশীদার ও সহযোগী সব দেশকে পরিবেশবান্ধব জলবায়ু সহনীয় যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ৬৯ কোটি লোক ক্ষুধার্ত। এর মধ্যে ৮ কোটি লোক সরাসরি বাঁচার লড়াই করছেন। মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ফেডারেল সরকারের কারণে ১৩ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। কোভিডের কারণে অনেক অঞ্চলে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ২৭ কোটি মানুষ অভিবাসী হয়েছে। তবে কোভিড আমাদের পরাস্ত করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন দেশ কৃষকদের যথাসময়ে বীজ ও সারসহ সব উপকরণ সরবরাহ করায় ক্ষুধাকে জয় করতে সক্ষম হয়েছি। যদি একটি শিশু না খেয়ে মারা যায় সেটা আমাদের সবার লজ্জা।
বিশ্বের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। নিরাপদ খাদ্যব্যবস্থা গড়তে আমরা নতুন সবুজ জোট গঠন করেছি। ইইউর একার পক্ষে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালে কীটনাশক ও সারের ব্যবহার ৪০ শতাংশ কমানো ও অর্গানিক খাদ্যের অবদান ২৫ শতাংশে উন্নীত করা। পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তি প্রয়োগ, নতুন উদ্ভাবন ও যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের বিশ্বে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে বলেন তিনি।
Discussion about this post