গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে প্রাইভেট কার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। অপরদিকে জেলার শ্রীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু তামান্না আক্তার (১১) এবং তাসলিমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কের কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে টাঙ্গাইলমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রাজু (৩২), শাহীন (৩০) ও শামীম (৩০)। আহত রাইসা (আড়াই বছর) নিহত রাজুর মেয়ে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টায় উপজেলার রঙ্গীলা এবং বরামা এলাকায় রাত সাড়ে ৮টায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছেন।
নিহত তাসলিমা আক্তার নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সোহাগ মিয়ার স্ত্রী এবং তামান্না আক্তার পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা আল আমিনের মেয়ে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত ইমতিয়াজ জানান, কোনাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে একটি মোটরসাইকেলযোগে হতাহতরা কালিয়াকৈরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলটি কোনাবাড়ী নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এতে মোটরসাইকেল থেকে শাহীন ও শামীম ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ছিটকে নিচে পড়ে এবং রাজু ও তার মেয়ে সেখানেই পড়ে যায়। এতে তারা চারজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাজু, শাহীন ও শামীমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত রাইসাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ঈদের ছুটি শেষে মোটরসাইকেলে স্ত্রী পারুল আক্তার ও মেয়ে তামান্নাকে নিয়ে আল-আমিন দিনাজপুর থেকে শ্রীপুরের বরামা এলাকায় কর্মস্থলে ফিরছিলেন।
মাওনা-বরমী সড়কের বরামা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুত গতির ড্রামট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে।
এসময় ঘটনাস্থলেই শিশু তামান্না নিহত হয়। আল-আমিনের স্ত্রী পারুল আক্তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে, মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তাসলিমা আক্তার।
এসময় ময়মনসিংহগামী দ্রুত গতির অজ্ঞাত একটি বাস রঙ্গীলা বাজার এলাকায় তাসলিমাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
উভয় দুর্ঘটনায় চালক ট্রাক ও বাসকে আটক করা যায়নি। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post