গাজীপুর শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার মোঃ মেহেদী হাসান (২২)। সে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের মৃত রহিম বেপারীর ছেলে। তিনি স্থানীয় টু পাজ ড্রেসেস লিমিটেড কারখানায় চাকরি করে।
গত ২২ অক্টোবর রাত আটটার দিকে সিংগারদিঘী (কাওরানবাজার) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কারখানা থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে (মেহেদীকে) এলোপাথাড়ি মারধর করা শুরু করে কয়েকজন মিলে। ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার মেহেদী। অভিযুক্তরা হলেন, সিংগারদিঘী গ্রামের মালেক মুন্সির ছেলে মোস্তফা (৫৮),মৃত চান্দে ভূঁইয়ার ছেলে সাহিদ ভূঁইয়া (৬৫) এবং সাহিন ভূঁইয়ার ছেলে জামাল ভূঁইয়া (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মেহেদীর বাবা আবদুর রহিম বেপারী গত ২০১৪ ইং সালে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকে চাচা মোঃ বানেছ আলী লালনপালন করেন। প্রধান অভিযুক্ত মোস্তফা মেহেদীর ফুফা। তিনি তাদের বাড়ীতে সাময়িক সময় বেড়াতে আসলে আর ফিরে যাননি।রহিম মিয়ার আধা পাকা নির্মাণ করা তিনটি রুমে মোস্তফা পরিবার নিয়ে থাকা শুরু করেন। কিন্তু সম্প্রতি কিছুদিন যাবত ওই ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন না, তাই মাওনা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন বরাবর ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে দরখাস্ত করেন মেহেদী। একাধিকবার সালিশ বৈঠক কে অভিযুক্ত কে ডাকা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি ও বৈঠকে উপস্থিত হননি।
মেহেদী হাসান বলেন, অভিযুক্তরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিদেশী টর্চ লাইট দিয়া আমার পিঠে, ঘাড়ে, চাপায়, ঠোঁটে, হাতে, দুই পায়ে এলোপাথারী ভাবে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা ছিলা ব্যাথাযুক্ত জখম করে। আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।
অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি তবে মোস্তফার স্ত্রী মজিদা বেগম মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার স্বামীকে প্রথম মেহেদী ঠোঁটে ঘুষি মেরেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি নিজ চোখে দেখেছি এবং ফেরানোর চেষ্টা করলেও অভিযুক্তরা তাকে মারতে থাকে। পরবর্তীতে আমি মেহেদীর বাড়িতে খবর দিলে তারা গিয়ে উদ্ধার করে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার (এএসআই) আব্দুল মালেক মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা চলছে, মিমাংসা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post