চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর সভার সদ্যসমাপ্ত নির্বানকে কেন্দ্র করে দুই বিজয়ী ও বিজীত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ১১ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১ টায় পৌরশহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের জনতা মার্কেট এলাকায় সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ও বিজীত প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
বিজীত প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম জানান, নির্বাচন পরবর্তী সদ্য নির্বাচিত সাইফুল ইসলামের সমর্থক জনৈক সাজ্জাদ হোসেন নামে এক লোক আমার সমর্থিত লোকজনকে রাস্তাঘাটে দেখলে কঠুক্তি করে।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে জনতা মার্কেটের মসজিদ গেইটে বাবু নামে আমার এক লোককে একা পেলে তার উপর হামলা করে সাজ্জাদ হোসেন নামে লোকটি। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন এগিয়ে এসে বাবুকে রক্ষা করে।
তিনি আরও বলেন-এ ঘটনার ঘন্টা পর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নতুন কাউন্সিলর সাইফুলের শতাধিক স্বশস্ত্র লোক প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করে এবং আমার লোকজনকে খোঁজে খোঁজে হামলা ও গুলি করে।
নতুন নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম দাবী করেন, পৌরশহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাজ্জাদ হোসেন নামে আমার এক লোকের উপর আকস্মিক হামলা ও নির্দয় মারধর করে রেজাউলের লোকজন। তাকে রক্ষা করতে যারা গেছে তারাও মারধরের শিকার হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, রাত ৯ টা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি ও মারধরে ঘটনা ঘটে। রাত ১১ টার দিকে এক পর্যায়ে দু’পক্ষই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল ছুটে গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনে।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন কমবেশি আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন শাহেদ (২৩), ফয়সাল (২৪) ও সিরাজ (৩১)। অন্যান্য আহতরা হলেন – রুবেল (২৭), ছাবের আহমদ (৪৮), সাইফুল ইসলাম বাবু (৪২), রানা (২৩), রাজিবউদ্দিন (২৪), মাহিন (২২), সাজ্জাদ (২৬) ও সৌরভ (৩০)।
এদের মধ্যে রুবেল ও সাজ্জাদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ও সাইফুল ইসলামকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি এজাহার জমা দিয়েছে বলে জানাগেছে।
Discussion about this post