ইমরান আল মাহমুদ, উখিয়া–
চতুর্থ দফায় দু’দিনের ব্যবধানে ভাসানচরের পথে ২হাজার ৮শ ৯৩জন রোহিঙ্গা। চতুর্থ দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন দুপুর ১২টায় ৩৯টি বাসে ২০১৪জন রোহিঙ্গা ও ১৫ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১৮টি বাসে ৮৭৯জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে।
রোহিঙ্গাদের বিশাল বহরের সামনে ও পেছনে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে চার দফায় স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ এই পযর্ন্ত ভাসানচরে গেছেন ৯হাজার ৫৪০জন রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গা মাঝিরা জানান, স্বেচ্ছায় রাজি হয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচর গিয়ে সেখানকার পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জানালে যারা যেতে রাজি হয়েছে তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে ভাসানচর স্থানান্তর করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। পরে সব প্রক্রিয়া শেষে প্রটোকলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জাহাজে করে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে চার দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। চতুর্থ দফায় স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথমদিনের ২০১৪জন রোহিঙ্গাকে জাহাজে করে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের ৮৭৯জন আজ চট্টগ্রাম হয়ে ভাসানচর যাবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
রোহিঙ্গাদের বহরের সাথে তাদের জিনিসপত্র বোঝাই চতুর্থ দফায় ১৭টি কার্গো ট্রাক রয়েছে। এসব বহরের সাথে রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মূলত সড়কপথে তাদের ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়ার অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, এই পযর্ন্ত কত রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে সেই বিষয়ে এখনও সঠিক করে বলা যাচ্ছেনা। তা হিসেব করে বলতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইতি মধ্যে যারা ভাসানচরে গেছে তারা ভালো আছে। এখন অনেক রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার আগ্রহ দেখা দেখাচ্ছে। অনেকেই নিজেরা তালিকা তৈরী করে স্ব স্ব ক্যাম্পে জমা দিচ্ছে।
গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছে।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরে গিয়েছে ১ হাজার ৮০৫জন রোহিঙ্গা ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।
Discussion about this post