কক্সবাজার প্রতিনিধি •
ছুটির দিনে পর্যটকে ঠাসা কক্সবাজার সৈকত
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বেড়েছে পর্যটক। সমুদ্রের নোনাজলে একটু পা ভেজাতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন সৈকতে। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৩ দিন অতিরিক্ত পর্যটকের আগমন ঘটে কক্সবাজারে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতের লাবণী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক। তারা বালিয়াড়িসহ সাগরের নোনা পানিতে আনন্দে মেতেছেন। কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ সেলফিতে মেতে উঠেছেন। কেউ সমুদ্রের ঢেউয়ে পা ভেজাচ্ছেন, কেউবা সি বেঞ্চে বসে আছেন আরাম করে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকে।
বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে সৈকত এলাকার ফটোগ্রাফার, জেড স্কি ও বিচ বাইক চালকদের। একই সঙ্গে জমজমাট ব্যবসা বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও।
ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে পণ্যের কেনাবেচায় সরগরম দোকানগুলো। এছাড়াও সাড়ে চার শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে আছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এ ধারা অব্যাহত থাকলে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া মিলছে। মহামারি কাটিয়ে আমরা আবার নতুন করে শুরু করতে পেরেছি। আগামীতেও ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা করছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন বলেন, সৈকতের কয়েকটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চাপ থাকলেও অতিরিক্ত সদস্য দিয়ে তা মোকাবিলা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুরাদ ইসলাম বলেন, ছুটির দিনে পর্যটকদের চাপ বেড়ে যায়। সৈকতে যেন পর্যটকরা কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হন সে জন্য আমরা কাজ করছি।
Discussion about this post