অনলাইন ডেস্ক •
জিয়াউর রহমানের জানাজায় বহু মানুষ অংশ নিলেও কফিনে মরদেহ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
‘জিয়াউর রহমানের জানাজায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে কফিনে জিয়ার লাশ ছিল’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যে কী প্রমাণিত হয়? মানুষ একজন প্রেসিডেন্টের জানাজা পড়েছে কিন্তু কফিনে যে লাশ ছিল তা তো দেখাতে পারেননি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের জানাজায়ও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। কিন্তু কফিনে তো তার লাশ ছিল না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে যে বুলেটে, সেই বুলেটে জেনারেল জিয়াকেও চলে যেতে হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি, তারা দেশ- বিদেশের নানান স্থানে মিটিং, লবিস্ট নিয়োগ এবং অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
খুনি ঘাতকদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসে কার কি ভূমিকা তা সবই জানা আছে।
বঙ্গবন্ধু তৃতীয় বিশ্বের নেতা হিসেবে উত্থান, তা অনেকেরই পছন্দ হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলের জাল পড়িয়ে বাসন্তীকে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছিলো, কারণ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সুনাম নষ্ট করাই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য, যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রাচারিত হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এখনো দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকা হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না, তারাই ষড়যন্ত্রের চোরাগলির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে।
দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের পাশে থাকারও আহবান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
Discussion about this post