নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রতিরোধ, কিশোর-কিশোরীসহ কন্যাশিশুর প্রতি অবহেলা নিরসন ও শিশু সুরক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে “সিক্সটিন ডে” (১৬ দিনের) কর্মসূচী উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এর উদ্যোগে ও ইউএন উইমেনের আর্থিক সহযোগিতায় স্থানীয় কমিউনিটি সদস্যদের সচেতনতামূলক সংঘ “মৈত্রী” (সিবিও) দলের আয়োজনে টেকনাফ উপজেলার ০১ নাম্বার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ০১ নাম্বার ওয়ার্ড়ের কাটাখালী গ্রামে দিনব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় “সিক্সটিন ডে” এক্টিভিজম পালন করা হয়েছে।
“সিক্সটিন ডে” এক্টিভিজম উপলক্ষে র্যালী, মানববন্ধন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নাটক ও পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শনিবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ০১ নাম্বার ওয়ার্ড়ের স্থানীয় কাটাখালী গ্রামের কমিউনিটি (সিবিও) সদস্যদের নিয়ে বেসরকারি সংস্থা বিএনপিসের Women Peace builders lead social cohesion enhancing capacities and collaboration of women civil society groups from Host community প্রকল্পের উদ্যোগে ও মৈত্রী সিবিও দলের আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মৈত্রী সিবিও দলের সভাপতি তাইমিন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “সিক্সটিন ডে” এক্টিভিজম ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ সিকদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন, ০১ নাম্বার ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য হাজী জালাল আহমেদ, বেসরকারি সংস্থা বিএনপিএসের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সঞ্চিতা মল্লিক, আর টি এম আই এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাসরিন আক্তার মনিকা, সর্দার সৈয়দ আহমেদ, সর্দার মোহাম্মদ ইসলাম প্রমূখ।
প্রোগ্রাম অফিসার মশিউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও স্থানীয় ধর্মীয়নেতা, শিক্ষক, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, শিশুসহ অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন, আলোচনা সভা, গান ও নাটক শেষ অংশগ্রহণকারী কয়েকশত নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী ও কিশোর-কিশোরীরা বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রতিরোধের উপর শপথ গ্রহণ করেন।
“সিক্সটিন ডে” উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে সমাজের প্রচলিত রীতি যা নারী-পুরুষের পার্থক্য তৈরি করে, তার মাধ্যমে শক্তির ব্যবধানের সৃষ্টি হয়, আর শুরু হয় নারী ও কন্যাশিশুদের উপর নির্যাতন। এই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করতে নারী ও কন্যাশিশুদের ভুমিকা অপরিসীম, কারন তারাই আগামী দিনের সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠার ধারক-বাহক।
প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশে আন্তর্জাতিক ভাবে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। তারও ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ বন্ধ, নারী-পুরুষ সমতা ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। বেসরকারি সংস্থা বিএনপিএসের উদ্যোগে দিবসটি আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬টি সিবিওতে উদযাপন করা হবে।
Discussion about this post