নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের একটি পাহাড়ে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহত তিন জনের মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ জকির বাহিনীর প্রধান ডাকাত জকির রয়েছে। নিহত দুজনও ডাকাত জকিরের সহযোগী বলে র্যাব জানিয়েছেন। রিপোর্ট লেখাকালিন র্যাব তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শালবন ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে একটি পাহাড়ে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, দুটি বন্দুক, ৫টি ওয়ান শুটারসহ ২৫ রাউন্ড বন্দুক ও পিস্তলের গুলি উদ্ধার হয়েছে। র্যাবের দাবি, নিহত জকির ডাকাতের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও মাদকসহ ২০টির বেশি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্য হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শালবন এবং জাদিমুরা ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি পাহাড়ে ডাকাত জকির বাহিনীর অবস্থানের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে র্যাব সদস্যরা গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির একপর্যায়ে জকির বাহিনী প্রধান জকিসহ দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
তবে টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, র্যাবের সঙ্গে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনায় জকির বাহিনীর প্রধান জকির (৩৫) ও মনিরকে (৩০) চিহ্নিত করতে পেরেছেন। অন্যজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় সূত্রে দুই ডাকাতের নাম কেউ কেউ হামিদ ও জহির বলে দাবি করেছে। ফলে তাদের নাম এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তারা সবাই রোহিঙ্গা।
Discussion about this post