তীব্র দাবদাহে পুড়ছে কক্সবাজার। সকাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সাগরে লঘুচাপের প্রভাব থাকায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
এতে সবচেয়ে ভোগান্তি ও অস্বস্তিতে শ্রমজীবি ও খেটে-খাওয়া মানুষেরা। শিশু থেকে বৃদ্ধদের ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। খাঁ খাঁ করছে মাঠ আর প্রান্তর।
খাল-বিল,নদী-নালা ও জলাশয় পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই বিরাজ করছে অস্বস্তিকর পরিবেশ।
জেলায় বৃষ্টি হলেও চলমান আবহাওয়ার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ডায়রিয়া ও হিটস্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
জেলায় গত এক সপ্তাহের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
জেলার আবহাওয়া অফিস বলছে, সাগরে লঘুচাপ অবস্থান করছে, মৌসুমি বায়ু প্রবেশ না করা পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমার সম্ভবনা নেই।
এদিকে এই খরতাপে পানিবাহিত রোগী বিশেষ করে ডায়রিয়া ও হিটস্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন পানিয়জাতীয় খাবার, ফল ও নরম পাতলা কাপড় ব্যবহার এবং খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বাহির না হওয়া, প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
Discussion about this post