হাতিরঝিল থানায় সুমন শেখ নামে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আজিমুল হক বলেন, হাতিরঝিল থানায় সুমন শেখ নামে এক আসামির আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রাতে দায়িত্বে থাকা ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও সেন্ট্রি মো. জাকারিয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউনিলিভার লিমিটেডের পিউরইট-এ চাকরি করতেন সুমন শেখ। পিউরইট-এর অফিস থেকে ৫৩ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট একটি মামলা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, আল আমিন, সোহেল রানা ও অনিক হোসেন। পরে এই তিন জনের দেওয়া তথ্য এবং অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ চুরির সঙ্গে সুমন শেখের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তাকে গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর সুমন শেখকে নিয়ে রাতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়।
সুমন শেখের আত্মহত্যার বর্ণনা দিয়ে ডিসি তেজগাঁও বলেন, অভিযান শেষে সুমন শেখকে রাতে হাতিরঝিল থানায় রাখা হয়। আজ সকালে রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত ৩টা ৩২ মিনিটে সুমন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এই ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।
এদিকে সুমন শেখের (২৫) মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে হাতিরঝিল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।
সুমন শেখের মৃত্যুর বিষয়ে তার স্বজন মো. সোহেল আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুরে একটি চুরির মামলায় সুমন শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুমন রামপুরায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে। আজ আমরা জানতে পারি সে থানার ভেতরে মারা গেছে। আমাদের প্রশ্ন, থানায় পুলিশের হেফাজতে একজন লোক কীভাবে আত্মহত্যা করে, পুলিশ তখন কী করছিল?
Discussion about this post