মোঃ শাহীন, নাইক্ষ্যংছড়ি •
সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিতকতায় সম্প্রতি দোছড়ি এবং বাইশারী ইউনিয়ন এলাকায় জেএসএস সশস্ত্র দলের সন্ত্রাসীদের আনাগোনা ও দৌরাত্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার/নির্মূল করার লক্ষ্যে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের নির্দেশনা মোতাবেক নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ হতে ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত একটি বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে।
বিজিবি সুত্রে জানাযায় ১ সেপ্টেম্বর বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শাহ আবদুল আজীজ আহমেদ, এসপিপি এর নেতৃত্বে ০২ জন অফিসারসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র সমন্বয়ে সর্বমোট ০৬ টি টহল দল বিশেষ অপারেশেনের উদ্দেশ্যে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি এবং বাইশারী ইউনিয়ন এলাকার মধ্যবর্তী স্থান হাতিরঝিড়ি নামক চাকপাড়া এলাকায় গমন করেন। এসময় সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী জেএসএস সদস্যরা বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তৎক্ষণাত অপারেশন কমান্ডারের নির্দেশনা মোতাবেক বিজিবি টহল দল কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে চতুর্দিক থেকে তাদেরকে ঘেরাও করে রাখে। পরবর্তীতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী জেএসএস সদস্যরা পালাতে না পেরে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ করে। জবাবে বিজিবি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।
গুলিবর্ষণ এর এক পর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে অপারেশন টাস্ক গ্রুপ-৫ এর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাহিদ হাসান এবং সৈনিক মোঃ আল আমিন হোসেন এর পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।এসময় বিজিবি টহল দলের সমন্বিত আক্রমণে সন্ত্রাসী দল পাহাড়ী ঘন জঙ্গলের মধ্যে আত্মগোপন করে থাকে।
বিজিবি টহল দল তাদেরকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকাটি রাতভর ঘেরাও করে পাহারা দেয়।
এছাড়া বিজিবির টহল দল বৃহস্পতিবার ২ সেপ্টেম্বর চাকপাড়া এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী জেএসএস এর আস্তানা এবং তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তি (ড্রোন) ব্যবহার করে ব্যাপক তল্লাশী চালায়। । তাছাড়া অপারেশন দল বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে এলাকায় তল্লাশী করা হয়।
বিষয়টি নিচ্ছিত করেন ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল শাহ আবদুল আজিজ।তিনি অারো বলেন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার ও পরিবহন, মাদকদ্রব্য পাচার, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার, চাঁদাবাজি এবং এই এলাকায় যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post