অনলাইন ডেস্ক •
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জ্ঞান ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া বক্তব্য দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী টেলিভিশনগুলোকে ক্লিনফিড চালাতে হবে। তাগাদা দেয়ার পর বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। মাঝখানে করোনার কারণে আমরা খুব চাপ দেইনি। মাস দেড়েক আগে আবার বসেছিলাম, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে টেলিভিশন আমাদের দেশে তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে চায় ক্লিনফিড পাঠানোর দায়িত্ব প্রথমত তাদেরই। তারা অন্যান্য দেশে বিজ্ঞাপনমুক্ত ফিড পাঠায়, আমাদের দেশে পাঠায় না। এখন তারা সেই উদ্যোগ নিয়েছে। যখন পাঠাবে তখন থেকে সম্প্রচার শুরু হবে। তার আগে আমি সময় দেয়ার কোনো পক্ষপাতী নই। এটি হলে আমাদের পুরো গণমাধ্যম উপকার পাবে।
ক্যাবল অপারেটিং থেকে আয় প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ জানান, দেশে সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টেলিভিশন গ্রাহক রয়েছেন। তারা শহর অঞ্চলে প্রতি মাসে গ্রাহকপ্রতি চার থেকে পাঁচশ টাকা আর সারা দেশে দেড়শ থেকে তিনশ টাকাও নেয়। গড়ে প্রতিমাসে গ্রাহকপ্রতি আড়াইশ টাকা করে নিলেও সাড়ে ৩ কোটি গ্রাহক থেকে ক্যাবল অপারেটররা কত টাকা পান, সেটি সহজেই অনুমেয়। এখান থেকে কোনো ট্যাক্স-ভ্যাট সরকার পায় না। যে ক্যাবল অপারেটরের গ্রাহক ১ লাখ, তারা ঘোষণা করে ১ হাজার, যার গ্রাহক ১০ হাজার সে ঘোষণা করে ৫০০। এখানে প্রচুর ফাঁকি দেয় তারা। মন্ত্রী বলেন, তাদের এই ফাঁকিটাও আমরা বন্ধ করব। ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল হতে হবে। এটা তারা মেনেই নিয়েছে। সেটি আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যখন ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল হবে, তখন এই ফাঁকি দেয়াটা সম্ভবপর হবে না।
এদিকে দেশের চলচ্চিত্র ও নাট্য অঙ্গনের নেতারা বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, উপদেষ্টা চিত্রনায়ক রুবেল, ডিপজল, আনোয়ার সিরাজী, টিভি পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সম্মিলিত জোট ফেডারেশন অভ টেলিভিশন প্রফেশনালস অরগানাইজেশন-এফটিপিও সভাপতি মামুনুর রশীদ, ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি সালাহউদ্দীন লাভলু, যুগ্ম সম্পাদক পিকলু চৌধুরী, টিভি প্রযোজক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির, অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, নাট্যকার সংঘের সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না এবং প্রেজেন্টার্স প্ল্যাটফরমের সাধারণ সম্পাদক আনজাম মাসুদ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজান-উল-আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এফটিপিও নেতারা এ সময় মন্ত্রীকে তাদের অভিনন্দনপত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
Discussion about this post