দুই অর্ধের পার্থক্যটা যেন আকাশ আর পাতালের! শুরুর অর্ধে যেখানে মাথাকুটে মরেছে স্টেডিয়াম ৯৭৪, সেখানে দ্বিতীয়ার্ধ দেখল ৫ টি গোল! সেই লড়াইয়ে ঘানাকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল আর ঘানা। শুরুর অর্ধটা একরকম ম্যাড়মেড়েই কেটেছে। পর্তুগাল গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে দেদারসে।
রোনালদোর কাছে সুযোগ এসেছিল শুরুতেই। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর তার দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন ঘানা গোলরক্ষক লরেন্স আতি-জিগি। শুরুর অর্ধে তাই আধিপত্য বিস্তার করেও গোলের দেখা পায়নি পর্তুগাল।
এই অচলাবস্থাটা ভাঙল গিয়ে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনালদো, বনে যান ৫ বিশ্বকাপে গোল করা প্রথম ফুটবলার। তবে তার এই গোলে খুব বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি পর্তুগাল। ৭৩ মিনিটে গোলটা করে ঘানাকে সমতায় ফেরান আন্দ্রে আইয়ু।
তবে জবাবটা ৫ মিনিট পরই দেয় পর্তুগাল। মাঝ মাঠ থেকে বেরিয়ে আসা থ্রু বল দারুণভাবে আয়ত্বে নিয়ে গোলটা করেন জাও ফেলিক্স। সেই গোলের ধাক্কাটা সামলে উঠতে না উঠতেই ঘানা পরের গোলটাও হজম করে বসে। ব্রুনো ফার্নান্দেজের বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়াতেই জালে জড়ান রাফায়েল লেয়াও। ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও অবশ্য ঘানা হাল ছাড়েনি।
৮৯ মিনিটে ওসমান বুকারির গোলে ব্যবধান কমায় দলটি। শেষ মুহূর্তে ইনাকি উইলিয়ামসের বুদ্ধিমত্তায় দারুণ এক সুযোগই পেয়ে গিয়েছিল। গোলরক্ষক ডিওগো কস্তা বল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তার পেছনে ঘাপটি মেরে ছিলেন ইনাকি। মাটিতে রাখতেই দারুণ ক্ষিপ্রতায় গিয়ে বলটা কেড়ে নেন। তবে পিছলে পড়েন এরপরই। তাই আর গোলটা করা হয়নি। রোমাঞ্চকর ম্যাচটা তাতে পর্তুগাল শেষ করে ৩-২ গোলে জিতেই। রোনালদোর দলের বিশ্বকাপ শুরু হয় দারুণভাবে।
Discussion about this post