নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের বাড়ি ভাঙচুরকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবিতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা এবং সংখ্যালঘুদের উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠন সমুহ।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দনের সঞ্চালনায় ও সভাপতি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,চট্রগ্রাম জেএম সেন থেকেই শুরু হয় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন।যাত্রামোহন সেনগুপ্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অবিভক্ত ভারত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। অথচ চট্টগ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন স্থাপনা থেকেও তা রক্ষা করা হয়নি। বারবার এসব ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলো ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে।চট্রগ্রামে সনাতন সম্প্রদায়ের সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান,সকল উতসব অনুষ্ঠিত হয় জেএম সেন হলে।আর সেটি রক্ষা করতে গিয়েই সাদেশের কোটি কোটি হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিভাবক রানা দাশগুপ্তের উপর হামলা করে সরকারী বাহিনী।অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও বিচার না করলে যে চট্রগ্রাম থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেভাকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার অচল করে দেওেয়া হবে।
বক্তারা বলেন,বাংলাদেশসহ নানা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। হামলা চালিয়ে মন্দিরসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা ভাংচুর করা হচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক নির্যাতন বন্ধ করুন। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ উৎসব-পার্বণে দুস্কৃতিকারীদের হামলা-ভাংচুর বন্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিন। ১৯৭১ সালে যে আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ বিনির্মানে সংগ্রাম ও লড়াই করেছিলাম এখন কিছু ধর্মান্ধ গোস্টি সংখ্যালঘুদের সম্পদ ও মন্দির ধ্বংস করছে।আমরা কোথাও যাওয়ার জন্য এদেশে জন্মগ্রহন করিনি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই আমাদের শেষ ভরসা তাই আপনাকে ধর্মান্ধ গোস্টির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধভাবে আপনার পাশে থাকবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন বিশ্ব আজকে যখন মানবতার কথা বলছে তখন পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আইএসকে মদদ দিয়ে পাকিস্তান সারাবিশ্বে জঙ্গিরাষ্ট্র সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তাই সারা বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষ ও সম্প্রদায় কে নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্র, মানবাধিকার সংগঠনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান।
ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট রনজিত দাশ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ট্রাস্টি বাবুল শর্মা,অধ্যাপক অজিত দাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য সত্যপ্রিয় চৌধূরী দোলন,সভাপতিমন্ডলীর সদ্স্য ডা: চন্দন কান্তি দাশ,কার্যনির্বাহী সদস্য স্বরুপম পাল পাঞ্জু,বেন্টু দাশ,এডভোকেট প্রতিভা দাশ,যুগ্ম সম্পাদক চঞ্চল দাশগুপ্ত ও স্বপন গুহ,জেলা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এড.বাপ্পী শর্মা,ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জনি ধর,স্বপন শর্মা রনি,পরিমল বড়ুয়া(চকরিয়া),দপ্তর সম্পাদক অজিত কুমার দাশ হিমু,গণসংযোগ সম্পাদক সুমন চৌধূরী আগুন,শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক দেবাশী দেব দেবু,সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত বড়ুয়া রিকু(রামু),প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডা: ডিবি শর্মা,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: উল্লাস ধর,সুমন কান্তি দাশ(চকরিয়া),সহ দপ্তর সম্পাদক সজল কান্তি দে,সহ গণসংযোগ সম্পাদক বিকাশ কান্তি সুশীল,সহ প্রচার সম্পাদক জ্যোতি মল্লিক বাবু,সহ যুব সম্পাদক প্রিতম ধর,সহ ছাত্র সুজন শর্মা জন,সহ আইন সম্পাদক প্রদীপ শর্মা(রামু),সহ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মাস্টার সুমন শর্মা,সহ প্রকাশনা সম্পাদক মৃদুল মল্লিক,সহ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক লালন পাল,সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাগর পাল সাজু,কার্যনির্বাহী সদস্য অশোক কুমার বড়ুয়া,বলরাম দাশ অনুপম,সুব্রত দত্ত(মহেশখালী),চন্দন কুমার দে(ডুলাহাজরা),ডা: অজিত কান্তি দাশ,(ঈদগাঁও),মধু সরকার(মহেশখালী),নরেন কুমার সুশীল(পেকুয়া),দেবাশীষ দে,বিন্দু আচার্য্য অজয়,সুপিন দাশ সৌরভ,জেকি কুমার সুশীল,রানা পাল,শাওন চক্রবর্তী,রাজু পাল,সবুজ শর্মা,সজল দাশ।
Discussion about this post