শহিদুল ইসলাম হৃদয়, রাঙামাটি
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতুটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামার কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করোনাকালীন সময়ে বন্ধ থাকা পর্যটন স্পট গুলো খুলে দিলেও রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি এক নজর দেখতে আসা পর্যটকরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
আশির দশকের দিকে সরকার রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। পরে পর্যটন কর্পোরেশনের অধীনে পর্যটকদের পারাপারের সুবিধার্থে দু’টি পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করা হয় আকর্ষণীয় এই ঝুলন্ত সেতুটি। তৎকাললীন সময় থেকে দেশ-বিদেশে সেতুটি ব্যাপক আকারে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতিবছরের ভড়া মৌসুমে দৃষ্টিনন্দন এই ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে এ জেলায় প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে তথা কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতার দিক বিবেচনা না করে সেতু নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়।
পর্যটন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর নতুন সেতু তৈরি বা সেতুর উচ্চতা বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা বলে আসলেও তাদের সেই পরিকল্পনা মুখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তা কখনো বাস্তবে রূপ নিতে দেখেনি রাঙামাটিবাসী।
পর্যটন কর্পোরেশনের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো সোহেলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে সেতুতে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানালেও, সেতুটি নিয়ে পরিকল্পনার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি পর্যটন কর্পোরেশনের এ কর্মকর্তা।
Discussion about this post