শহিদুল ইসলাম হৃদয়, রাঙামাটি –
সরকার পাসপোট সহজীকরণ করার পরেও রাঙামাটির আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে বিদেশগামী স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। নিজের জীবন যৌবন উৎসর্গিত করে দেশের রেমিটেন্সের জন্য বিদেশে কাজ করা প্রবাসী শ্রমজীবিরা আরো বেশি করে হয়রানী এমনকি শারিরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এই পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে।
বুধবার রাঙামাটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এমনি শারিরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া এক প্রবাসী শ্রমিকের নির্যাতনের ঘটনায় রাঙামাটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে রাঙামাটির কোতয়ালী থানা পুলিশ।
ভূক্তভোগী রাঙামাটি কলেজ গেইটের বাসিন্দা আজিজ হোসেন জানিয়েছেন, আমি ট্যুরিষ্ট ভিসায় দুবাই গিয়ে সেখানে একটি ভিসা সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে করোনার সময় আমি দেশে চলে আসি। এসময় আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে গত দুই মাস আগে আমার ব্যক্তিগত পাসপোর্টটি সরকারী খরছ জমাদানের মাধ্যমে আমি রাঙামাটিস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমাদিই। এখানে আমার কাছ থেকে ঘুষ চাইলে আমি প্রথমে এক হাজার টাকা দিই। পরবর্তীতে আরো ৩ হাজার টাকা প্রদান করি এতেও তারা আমার পাসপোর্টটি নবায়ন করে দেয়নি। এরপরে সর্বশেষ বুধবার সকালে পার্সপোর্ট অফিসে আবার আসলে আমার কাছে আরো ৫ হাজার টাকা চাওয়ায় আমি বিষয়টি রেকর্ড করি এবং প্রতিবাদ করতে থাকি।
এসময় রাঙামাটির আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক জাহেদুল হক ও অফিসের আরো কয়েকজন মিলে আমাকে বেদড়ক মারধর করে এবং চোর বলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার সাথে জড়িত পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি করে এই ঘটনায় নিজে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই ৯৯৯ এর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কোতয়ালীথানার ওসি তদন্ত নুরুল ইসলাম খান। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা বিষয়টির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিনিয়তই রাঙামাটি পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হয়। এইঅফিসের সংশ্লিষ্ট্য কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদে ইমরান, জাহিদ, দৌলতসহ আরো কয়েকজনের নেতৃত্বে চলে ঘুষ কালেকশন। তাদের চাহিদামতো টাকা নাদিলে সময়মতো পাসপোর্ট পাওয়া বা নবায়ন করা যায়না।
প্রতিনিয়তই জনসাধারন হয়রানীর শিকার হচ্ছে। ঘটনাগুলো মৌখিকভাবে কিছুটা শুনেছেন স্বীকার করে রাঙামাটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক জাহেদুল হক জানিয়েছেন, আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিলে আমি ডিজি মহোদয়ের নিকট সেগুলো পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
Discussion about this post