কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে পাহাড় কাটার ঘটনায় দুই দিনের ব্যবধানে দুটি মাটি ও বালি ভর্তি ডাম্পার (মিনি ট্রাক) জব্দ করেছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ। গত ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯ টায় বাওনাকাটা এলাকা থেকে একটি এবং ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পরানিয়াপাড়া এলাকা থেকে একটি ডাম্পার ট্রাক পৃথক অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয়। গাড়ি দুটির মালিক পাহাড়খেকো কায়েস ও মামুন। তাদের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কায়েস ও মামুনের পাশাপাশি পিএমখালীতে পাহাড় কাটায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ১৩ মামলার আসামি শীর্ষ পাহাড়খেকো ওবায়দুল করিম। পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল জব্বারের সাথে ওবায়দুল করিমের গোপন চুক্তি থাকায় তার গাড়ি যেমন জব্দ করা হয় না, তেমনি তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয় না।
বন-বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, পাহাড় কেটে মাটি ও বালি পাচারের গোপন খবর পেয়ে ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯ টায় বাওনাকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাহাড়খেকো কায়েস এর একটি মাটি ভর্তি ডাম্প ট্রাক জব্দ করা হয়। অপরদিকে ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পরানিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাহাড়খেকো মামুন এর মালিকানাধীন একটি পাহাড়ের বালি ভর্তি ডাম্প ট্রাক জব্দ করা হয়। অভিযানে পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল জব্বারসহ বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার সচেতন নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব মোরশেদ আলম জানান, বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা তদারকি করায় পিএমখালীতে পাহাড় কাটা আগের চেয়ে কমে এসেছে। কিন্তু রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল জব্বারের সাথে শীর্ষ পাহাড়খেকো ওবায়দুল করিম সিন্ডিকেটের গোপন চুক্তি থাকায় তাদের গাড়ি জব্দ ও মামলা করা হয় না, যা বন বিভাগ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। দ্রুত এসব জব্দ করার দাবি জানান তিনি।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, ‘পাহাড় কাটার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নিয়মিত অভিযান চলছে, এটি অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post