নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-সম্পাদক রেজাউল করিমকে(২৭) ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম মানিক।
এ সময় ভাইকে উদ্ধারে ছোট ভাই জিয়াবুল করিম এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ফরহাদুল ইসলামের ইন্ধনে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে বলে দাবী করেছেন হামলার শিকার ব্যক্তিরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পেকুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পুর্ব বাইম্যাখালী গ্রামের মনজুর আলমের ছেলে। আহত ব্যক্তিদের অবস্থা ঘুরুতর হওয়ায় দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতসলে রেফার্ড করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী রিদুওয়ানুল হক জানায়, পেকুয়া বাজারে ফোরকান মেডিকো ফার্মেসীর সামনে রেজাউল করিমসহ আমরা গল্প করছিলাম। এ সময় ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম মানিক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রেজাউল করিমকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তিনি সড়কে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় মানিকসহ ৭/৮জন লোক উপুর্যপুরি ছুরিঘাত করে হত্যা চেষ্টা চালায়। পরে তিনি প্রানে বাচতে বাজারের পশ্চিম দিকে দৌড়ে পালাতে থাকে।
আহত জিয়াবুল করিম জানায়, বড় ভাইকে প্রাননাশের হামলা চালাতে ছাত্রদল নেতা ফরহাদের ইন্ধনে ছাত্রদল নেতা বারবাকিয়া এলাকার রেজাউল করিম মানিক, হাসানসহ ৮/১০ সন্ত্রাসী ফোরকান মেডিকো ফার্মেসীর সামনে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। প্রানে বাচতে তিনি দৌড়ে মোস্তাক ফার্মেসীর কাছাকাছি স্থানে পৌছলে সেখানেও তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মারাত্বক জখম করে। খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী জানায়, রাজনৈতিক গ্রুপিং এর কারণআমার এ ধরনের ন্যাক্কারকনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কিছুদিন আগেও পেকুয়া কলেজ গেইট চৌমুহনীতে ফরহাদের নেতৃত্বে রেজাউল করিমের উপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
আহত রেজাউল করিম জানায়, পুর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। ছাত্রদল সম্পাদক ফরহাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে না আসলে নিশ্চিত দুই ভাইকে হত্যা করত তারা।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতদের দেখতে পুলিশ হাসপাতালে গেছে।
Discussion about this post