বিডি দর্পণ ডেস্ক:
সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান দূতাবাসের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে তিনি সরাসরি বিমান যোগাযোগসহ নানান ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বুধবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান-এর সঙ্গে ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
এসময় ইমরান আহমেদ বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈশ্বিক সূচকগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ আশাব্যঞ্জক। ফলে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুনাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন’ স্থাপন করা হয়েছিল যেটির সর্বশেষ সভা ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয়ভাবে চালুকরণের প্রস্তাব করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দুদেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন এবং করাচি ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহন কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালুর আহ্বান জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংখ্যক উদ্যোক্তা ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এর বিটুবি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ডিসিসিআই প্রতিবছরই এ ধরনের আয়োজন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রাপ্তিতে বিদ্যমান সকল বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪৩.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুদেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন এবং দুদেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার ওপর জোর দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post