কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত পালংখালী ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডে প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী ও প্রার্থীর ভাইকে আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক নির্বাচন এবং আসন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের এজেন্ট জাতীয় পার্টি ও শিবির থেকে আগন্তুকদের প্রার্থী করে অপকৌশলে জেতানোর পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে দূর্বিত্তরা।
কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল নিম্নরুপঃ-
১. কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলের সম্মেলন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সভায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
২. কোন বিদ্রোহী প্রার্থী দলের মনোনয়ন চাইতে পারবে না।
৩. যারা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন তারা দলের কোন পদপদবি ও মনোনয়ন পাবে না।
ত্যাগীরা অতীতে জীবন বাজি রেখে এই দেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্টিত করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছেন। আঃলীগের নীতি নির্ধারকেরা ভাষণের মাধ্যমে ত্যাগীদের জন্য জীবনও বাজি রাখে কিন্তু ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা কমিটি গুলোতে কোন ত্যাগীই ওঠে আসতে পারছেনা কারন তাদের কাছে টাকা নেই।
আজ উন্নয়নের মহা সড়কে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ কিন্ত সেই ত্যাগীরা অস্থিত্ব নিয়ে টিকে আছে তো??? দলীয় প্রধান বলেন বিদ্রোহী ও তাদের সহযোগীরা আওয়ামীলীগের পদ পদবী পাবেননা তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে তারা ওয়ার্ড ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রার্থী হয় কি করে? সভাপতি-সম্পাদক হয় কি করে? তাহলে কি এই বিষয়ে আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী সংসদের অফিসিয়াল কোন নিয়ম নীতি প্রতিষ্টিত করা হয়নি হলেও অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে নেত্রী বরাবরে ত্যাগীদের পৌঁছানোর কোন নিয়ম নেয়?
এসব ওয়ার্ড ইউনিয়নে নেত্রীর বিশ্বস্ত মানুষ গুলো তখন আধ্ মরা হয়েছে বিএনপি-জামাতের হাতে আর এখন পুরোটাই মরতে বসেছে আঃলীগের নিয়োগ প্রাপ্ত দ্বায়িত্বশীলদের হাতে আর এসব ওয়ার্ড গুলোতেই ভোটারের বসবাস এবং ভোট কেন্দ্র স্থাপিত।
আওয়ামীলীগের জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নের দ্বায়িত্বশীল টিম কি সবার ব্যপারে জানেন না, জানলেও বিদ্রোহীদের কাছে অজ্ঞাত কারনে বন্ধি! না হলে আওয়ামীলীগ সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে কিভাবে বিদ্রোহীরা প্রার্থী হয় এবং ত্যাগী প্রার্থীদেরকে অপকৌশলে হারানো হয়?
রোহীঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা এই পালংখালী ইউনিয়ন এখানে ত্যাগীদেরকে রোহীঙ্গা কিলার ভাড়া করে হত্যা চেষ্টা করা হয় আঃলীগের তথাকথিত ভোগবিলাশি আলালের ঘরের দোলাল-বিদ্রোহীদের নির্দেশনায়। এখানে সবি সম্ভব। এখানে দূর্বিত্তদের টাকার গাছ নয় পুরো বাগান আছে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে গোঁছানোর প্রক্রিয়া চলছে-কিন্তু সেই গঠন প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রন যদি জামাত-বিএনপি ও স্বাধীনতা বিরুধীদের নিয়ম মাফিক হয়, বারবার বিএনপি-জামাতের ডোনেশনে, ইন্দনে এবং তাদেরই আওয়ামীলীগ ধ্বংসের নীল নকশা বাস্তবায়নকারী বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সহযোগীরা যদি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদক হয়ে যায় অবৈধ অর্থের জোরে অবৈধ ক্ষমতার জোরে তাহলে কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা হল না?
তারা শুধুই যে বিদ্রোহী তা নয় তারা জামাত-বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে আগত, তারা বারে বারে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের লেবাস পরিধান করে আওয়ামী পরিবারকেই ধ্বংস করেছে। আমার পিতা এতদঞ্ছলের ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছিলেন অথচ তারা নৌকা প্রতিকের জন্য ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নিজেই প্রতিষ্টাতা সভাপতি বনে যায় এবং সেই মিথ্যে প্রোফাইল এপ্রুভড হয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অনুমোদন নিয়ে ফিরে আসে। সত্যি অবৈধ টাকায় সবি সম্ভব।
সীমান্ত ইউনিয়ন পালংখালীতে আজ আন্তর্জাতিক আইএনজিও, আন্তর্জাতিক মেহমান রোহীঙ্গা, অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক জামাত-বিএনপি ও তাদের দোসর এবং বিজনেস পার্টনার আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ও অনুপ্রবেশকারক সব দূর্বিত্ত্ব মিলে মিশে আওয়ামীলীগকে ডুবিয়ে ক্ষান্ত হবেনা শুধু মাতৃভুমিকে নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেবে।
তায়, প্রত্যেকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইউনিয়ন কাউন্সিলর যেনো বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সহযোগী না হয়, যেনো বিএনপি জামাত নাহয়, রাষ্ট্রদ্রোহী-দেশদ্রোহী না হয় সেদিকে আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকদের খেয়াল রাখা দরকার ছিল। তারা ঢুকে পড়ছে, তাদেরকে ঢুকিয়ে নিয়েছে।
নোটিশে কিংবা বিনা নোটিশে সম্পূর্ণ ম্যাজিক্যাল এবং নাটকিয় পন্থায় যেকোন সময় বিএনপি, জামাত, বিদ্রোহী ও অনুপ্রবেকারীদের ঠাসা কাউন্সীলরদের মাধ্যমে সুষ্ট ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সহযোগীরা।
ত্যাগীদের কথায় তো আর আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভাল-মন্দ বিবেচনা করে নৌকা প্রতিক দেবেন না! ত্যাগীদের নিঃশ্বাস চোখের জল সেতো মহান রবই জানেন, ইবলিশের কাছে যা বিদ্রুপ হাসির খোরাক।
সুতরাং বলা চলে-জয় বাংলা ধানের শীষ, ত্যাগিরা ডিসমিস।
লেখক: শফিক সিরাজ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
Discussion about this post