গত পাঁচ বছরে উন্নয়নে পাল্টে যাওয়া কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চুড়ান্তভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। আগামী ১৫ জুন নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়বেন তিনি।
একইদিন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউপিতেহ জয়ের জন্য লড়তে নতুন মুখ বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেই হিসেবে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
শুক্রবার (১৩ মে) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মহেশখালীর উপজেলার দুই ইউনিয়নের মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কালারমারছড়া ও বড় মহেশখালী ইউপি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ১২ জন আবেদন করেন। তৎমধ্যে বড় মহেশখালীতে ৬ জন ও কালারমারছড়ায় ৬ জন। তাঁরা সকলেই ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে পূনরায় জমা দিয়েছেন।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনকারীরা হলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আখতারুজ্জামান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আজিম, আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম ও তরুণ আইনজীবী এডভোকেট হারেছুর রহমান।
এর মধ্যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফকে যোগ্য মনে করে তাঁর হাতে নৌকা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারেক বিন ওসমান শরীফ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি কক্সবাজার জেলায় মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ মোহাম্মদ শরীফ চেয়ারম্যান দৌহিত্র। এবং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ওসমান গণির কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীমের ভাতিজা।
অপরদিকে গেল বারের নির্বাচনে বড় মহেশখালী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যায় দলীয় প্রতীক নৌকা। এবার সেই জয়ের খরা কাটাতে নতুন প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে সবকিছু বিবেচনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরীকেই চুড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর পুত্র।
এর আগে এ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৮ জনের নাম জেলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে প্রেরণ করলেও মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র জমা দেন ৬ জন। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফোরকান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী, সদস্য মোস্তাক আহমদ তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজ মিয়া বাঁশি, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ নিশান।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন কালারমারছড়া ও বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ১৭ মে মনোনয়নপত্র দাখিল, ১৯ মে মনোনয়নপত্র বাচাই, ২৬ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ। প্রথমবারের মতো মহেশখালীর এই দুই ইউপি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এদিকে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক ওসমান শরীফ বলেন, আমি যে গতবারের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নই, আজ মনোনয়ন চুড়ান্তের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটি আবারো প্রমাণ করলেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পাশাপাশি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী এবং প্রাণপ্রিয় কালারমারছড়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞ।
একই সাথে আমাকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার নৌকা প্রতীককে জয়ী করে কালারমারছড়াবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
Discussion about this post