আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে তিন নারী কর্মকর্তাসহ পাঁচ সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, দক্ষিণ শান রাজ্যের পেখন এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
মুখপাত্র বলেন, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেখনের লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের ঘাঁটির পশ্চিম গেটে অভিযান চালায় পিডিএসের সশস্ত্র সদস্যরা। সেখান থেকে কয়েকটি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযানে সাতজন অংশ নেন। এই ঘাঁটিটি নারী কর্মকর্তার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল তা জানা ছিল না বিদ্রোহীদের। অবশ্য অস্ত্র সংগ্রহ করতে গিয়েই বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা।
পিডিএফের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘এই ঘটনার সময় সেখানে খুবই অন্ধকার ছিল। ভালো করেই কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না তারা নারী না পুরুষ। আমাদের দায়িত্ব সশস্ত্র এবং ইউনিফর্মধারী কেউকে দেখা মাত্রই গুলি করা। আমরা এখন যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করছি এগুলো তাদের কাছ থেকেই নিয়ে এসেছি’।
জান্তাবিরোধীদের ওপর এমন হামলার ঘটনার জেরে পেখনের বেসামরিক বাসিন্দাদের একাধিক বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দিয়েছে সেনারা।
মিয়ানমারে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে দিন দিন প্রতিরোধ গড়ে তুলছে দেশটির সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সম্মিলিত হয়ে গঠন করে পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে সহিংস দমন নীতি গ্রহণ করে জান্তা সরকার। নিহত হয় শত শত বিক্ষোভকারী। এরপরই এই দলটি গঠন হয়। এই বাহিনীর সদস্যরা হালকা অস্ত্র ও সীমিত প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রামীণ এলাকা বা ছোট শহরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে।
Discussion about this post