অনলাইন ডেস্ক •
মিয়ানমারে ফিরতে চাওয়ার কারণে শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাঁকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গত বুধবার রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন মুহিবুল্লাহ। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন।
মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সেলিম উল্লাহ (৩০) নামের সন্দেহভাজন এক রোহিঙ্গাকে আটক করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। পরে তাঁকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে মুহিবুল্লাহ খুনের ঘটনায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার সংশ্লিষ্টতা এবং তিনজনকে শনাক্ত করার কথা গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন তাঁর ভাই হাবিবুল্লাহ। সেদিন রাতে উখিয়া থানায় তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সেখানে অবশ্য আরসার বিষয়টি উল্লেখ করেননি। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (এপিবিএন) মো. আজাদ মিয়া গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মুহিবুল্লাহ খুনের ঘটনায় মামলার বাদী আরসার জড়িত থাকাসহ যেসব অভিযোগ করেছেন, তা আমলে নিয়েই তদন্ত চলছে।
এদিকে মুহিবুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে তাঁর বিবৃতিটি প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশলেতে গতকাল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শুধু হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিচার নয়, মুহিবুল্লাহর হত্যার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, তা খুঁজতে দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন একটি তদন্ত চালানো উচিত।
Discussion about this post