মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়েছে। তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকা থেকে মর্টারশেল দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, তুমব্রু উত্তরপাড়া সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে উত্তর পাড়াবাসীর বসবাস। সেখানে একটি মসজিদও রয়েছে। এর বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিজিপির (মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী) তুমব্রু রাইট ক্যাম্প।
সেখান থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া একটি মর্টারশেলের গোলা তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পাশে এবং আরেকটি মর্টারশেল ওই এলাকার আনুমানিক ২০০ গজ পূর্বে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসে পড়ে। তবে গোলা দুটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় এতে কেউ হতাহত হননি বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এলোমেলোভাবে বাংলাদেশের দিকে গোলা ছুড়ছে। আজ তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পাশে দুটি মর্টারশেল এসে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বান্দরবান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজিবিও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। রোববারও সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়।
দুপুরে সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখা যায়। এরপর বিকেলে বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে মর্টারশেল পড়ার ঘটনা ঘটে।
Discussion about this post