স্বাস্থ্য ডেস্ক:
ঘাড় ও কোমরের ব্যথা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মানুষ ঘাড় ও কোমরব্যথায় ভুগে থাকে। আজ আমরা এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে ঘাড় ও কোমরের ব্যথা নিয়ে কথা বলেছেন ডা. শামসুল হক। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ যেটি বলি, যেমন—ম্যাক্সিমামই এজিং প্রসেসের সাথে সাথে রিলেটেড ঘাড়ের এবং কোমরের ব্যথাগুলো।
এ ছাড়া যে কারণগুলো আমরা কমনলি পেয়ে থাকি, যেমন—আজকাল যারা প্রচুর আইটি জব করছে, তারা লম্বা সময় ডেস্কে বসে কাজ করার কারণে এবং আনওয়ান্টেড পজিশনে বসে তারা কাজ করে।
সাধারণত যেটা হয় আর্গোনমিক্যালি আমরা যদি চিন্তা করি, একটা সারটেইন টাইম পর পর তাদের উঠে কাজ করতে হবে। অ্যাকচুয়লি কাজের এত স্ট্রেসের কারণে এখন ম্যাক্সিমামই একটা টাইম পর পর আর উঠছে না। তো সে ক্ষেত্রে প্রোলং সিটিং একটা কারণ হতে পারে।
এ ছাড়া, যেমন—অনেক সময় স্পনডেলাইটিক চেঞ্জ হয়, সেখান থেকেও কোমরের ব্যথা বা ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে। মাসলকে আনওয়ান্টেডলি প্রোপার ওয়ে ছাড়া লম্বা সময় ইউজ করছে অনেকে। সে ক্ষেত্রেও কোমরের ব্যথা এবং ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে।
ডা. শামসুল হক বলেন, আপনি প্রায়ই হয়তো শুনবেন, যেটা পিএলআইডি বা ডিস্ক প্রোলাসপ যেটাকে বলে; মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের মাঝখানে একটি করে ডিস্ক থাকে, যেটা বেসিক্যালি আমাদের হাইটকে মেইনটেইন করে, দুই হাড়ের মাঝখানে যে ফ্রিকশন হয়, এটাকে প্রিভেন্ট করে। কখনো কখনো সব অ্যাবজর্বিং করে, জাম্পিংয়ের মতো কাজ করে। অনেক সময় যেটা হয়, ওভার ওয়েটের কারণে হতে পারে, লম্বা সময় বসে থাকার কারণে হতে পারে, কখনো কখনো হাঁচি-কাশি দেওয়ার কারণে হতে পারে—ওই ডিস্কটা তার জায়গা থেকে স্লিপ করে।
স্লিপ করে পাশে যে নার্ভ থাকে, নার্ভকে কম্প্রেস করে। যে কারণে ওখানে তো ব্যথা হয়ই, এটা আস্তে আস্তে সাপ্লাইন পর্যন্ত স্প্রেড করে যায়। যেমন—নেকে হলে এটা কখনো কখনো হাতে চলে আসে এবং ব্যথার সাথে সাথে ঝি-ঝি করে, অবশ-অবশ ভাব হয়, কখনো কখনো হেভিনেস বা হাত ভারী হয়ে যায়। পায়ের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম হয়। কোমর থেকে পায়ে ব্যথা চলে যাচ্ছে… কখনো কখনো এত তীব্র ব্যথা হয় যে সে হাঁটাচলা করতে পারে না। ফুল বেডরেস্টে চলে যাচ্ছে…।
Discussion about this post