রংপুর সিটি নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষের সময় বিজিবির টহল মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ঘটনায় হারাধন হারা নামে কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে তাকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে বিজিবির একটি টহল মাইক্রোবাসে আগুন দেয় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষ করে চলে যায় প্রশাসন। ওই কেন্দ্রে রফিকুল ইসলাম নামে এক কমিশনার প্রার্থী প্রথম হন। কিছুক্ষণ পর খবর আসে রফিকুল হেরে গেছেন। এই খবরে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এ সময় ওই পথেই যাচ্ছিল বিজিবির একটি টহল গাড়ি। বিশৃঙ্খলার সুযোগে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা পরে গাড়িটির ওপর চড়াও হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মাইক্রোবাসের চালক ওবায়দুর রহমান বলেন, আমার গাড়িতে বিজিবির সদস্যরা ছিল। আমি গাড়ি নিয়ে আসা মাত্রই কয়েকজন হামলা চালায়। পেছনে থাকা প্রশাসনের গাড়ি ঘুরিয়ে যেতে পারলেও আমি যেতে পারিনি। তারা আমার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অনেকে আহত হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রিকুইজিশন নেওয়া বিজিবির একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হারাধন নামে এক কাউন্সিল প্রার্থীকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
Discussion about this post