কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে ৩৬ বছর ধরে সভাপতি পদটি কুক্ষিগত করে রাখা আসহাব-আলমগীর প্যানেলর বিপরীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক গণতান্ত্রিক পক্রিয়ায় আবুল আলা-নোমান প্যানেলকে বিজয়ী করতে পুরো ইউনিয়নজুড়ে চষে বেড়াচ্ছেন আবুল আলা-নোমান প্যানেলের নেতৃবৃন্দরা।
সাংগঠনিক টীম সূত্র মতে, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ মে (রবিবার) রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের কথা রয়েছে। সম্মেলনকে সফল করতে ইতিমধ্যে সাংগঠনিক টীম সব ধরণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে চষে বেড়ানোর ধারাবাহিতায় ১৩ মে (শুক্রবার) সকালে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ঘরে ঘরে গিয়ে গণসংযোগ করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি প্রার্থী আবুল আলা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, সাবেক মেম্বার আব্দুল গফুর ও সেলিম উদ্দিন।
কাউন্সিলরদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনাকালে ঘুরেফিরে ৩৬ বছর ধরে একই ব্যক্তি পরপর ৫ বার সভাপতির পদটি কুক্ষিগত করে রাখার বিষয়টিও বরাবরই আলোচনায় আসে।
এসময় বিভিন্ন কাউন্সিলর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছু ছদ্মবেশী লোক আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে দলীয় পদকে পৈত্রিক সম্পত্তির মত বছরের পর বছর নিজেদের দখলে রাখতে চায়। ঠিক তাদেরই মত আছহাব উদ্দিন মেম্বারও ৩৬ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদটি নানা ছলচাতুরীতে নিজের দেখলে রেখেছে। যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক।
এসব নেতারা কখনো নিজের স্বার্থের বাইরে গিয়ে দলের স্বার্থের কথা ভাবেনি। এরা দলীয় পদকে ব্যবহার করে সারাবছর করেছেন ঠিকাদারি। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। একারণেই আছহাব উদ্দিন মেম্বার সভাপতি পদ আগলে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কাউন্সিলরদের সহানুভূতি আদায়ে বিভিন্ন মুখরোচক কথার পাশাপাশি দিচ্ছেন লোভনীয় প্রতিশ্রুতি।
প্রায় ছত্রিশ বছর পদ আগলে রাখা সহ নানা সমালোচিত কর্মকাণ্ডে কাউন্সিলর কাছে গ্রহণযোগ্য হারানো আছহাব-আলমগীর প্যানেলের বিরুদ্ধে আবুল আলা-নোমান প্যানেলের বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার বলে দাবি করছেন, রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান।
এসময় তিনি আরো বলেন, আবুল আলা-নোমান প্যানেলের বিজয় সুনিশ্চিত দেখে আছহাব-আলমগীর প্যানেল তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম গুজব ছাড়াচ্ছে। এসব গুজবে কাউন্সিলরগণ কান দেবেনা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান এজনপদের একজন পরীক্ষিত ছাত্রনেতা।
এক প্রশ্নের জবাবে সভাপতি প্রার্থী আবুল আলা চৌধুরী জানান, বর্তমানে রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাদের পরামর্শে পরিচালিত হয়। বিএনপি নেতাদের বাড়ি এখন রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঘোষিত অফিস।
এ অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগকে বেরিয়ে আনতে সম্মানিত কাউন্সিলরদের পরামর্শর প্রার্থী হয়েছি। আমার বিশ্বাস কাউন্সিলরগণ তাদের সুচিন্তিত রায়ে আমাদের প্যানেল বিজয়ী হবে।
Discussion about this post